স্টাফ রিপোর্টার :
পেশাগত অসদাচরণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিলে অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ফজলুল হককে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (১৮ জুন) বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. আলী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, তাকে সাময়িক বরখাস্তসহ অভিযোগের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, সৈয়দ ফজলুল হক এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন। বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ ও সমন্বয় না করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও অপমান করা হতো। এছাড়া, তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন।
অভিযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ও পাঁচ সদস্যের অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি গঠন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ এপ্রিল সৈয়দ ফজলুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আর ৩০ মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। চলতি মাসের ৬ জুন নোটিশের জবাব দেন অভিযুক্ত শিক্ষক। তবে, জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে সৈয়দ ফজলুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলী হোসেন বলেন, ‘প্রায় চার বছর আগে ফজলুল হক এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। প্রায় ২২ মাস ধরে শিক্ষকদের বেতন আটকে রেখেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি গঠন করা হয়।
তিনি কাগজপত্র জমা না দিয়ে উল্টো কমিটির বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষককে নানা অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তসহ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। তার লিখিত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়েছে।’