যুগধারা ডেস্ক :
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রেলওয়ের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ঈদুল ফিতরের মতো এবারো অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে শতভাগ টিকিট। এজন্য কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আগের সেই পরিচিত ভিড়-কোলাহল নেই। নেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর দৃশ্যও।
জানা গেছে, আজ ২৪ জুনের টিকিট অগ্রিম বিক্রি হচ্ছে। এবার ঈদযাত্রার টিকিট দুই ভাগে বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট এবং দুপুর ১২টায় পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মো. মাসুদ সারোয়ার বলেন, ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি আজ থেকে শুরু হয়েছে। ঈদুল ফিতরের মতো এবারো অগ্রিম টিকিটের শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আজ বিক্রি হওয়া পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের আসন ছিল ১২ হাজার ৮২১টি। এসব টিকিট সকাল ৯টার মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে সার্ভারে সবচেয়ে ব্যস্ত সময় ছিল। প্রায় ৪০ লাখ বার সার্ভারে হিট করেছে টিকিট প্রত্যাশীরা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম সহজ ডটকমের মাধ্যমে হচ্ছে। তাদের প্রতি মিনিটে ৮ হাজার টিকিট বিক্রির সক্ষমতা রয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে সার্ভার ডাউনের কোনো অভিযোগ আসেনি।
বুধবার (১৪ জুন) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনের টিকিট কাউন্টারগুলো ফাঁকা। শুধু নিয়মিত যাত্রীদের আনাগোনা রয়েছে প্ল্যাটফর্মে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ১৫ জুন দেওয়া হবে ২৫ জুনের টিকিট, ১৬ জুন দেওয়া হবে ২৬ জুনের টিকিট, ১৭ জুন দেওয়া হবে ২৭ জুনের টিকিট এবং ১৮ জুন দেওয়া হবে ২৮ জুনের টিকিট।
ঈদ পরবর্তী ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে ২২ জুন থেকে। সেই হিসাবে ২২ জুন দেওয়া হতে পারে ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট পাওয়া যেতে পারে।
এবারও ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট থাকবে :
আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং (দাঁড়িয়ে যাওয়া) টিকিট দেওয়া হবে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে। তবে তা যাত্রার দিন চারটি স্টেশন থেকে যাত্রীরা কাটতে পারবেন যাত্রীরা।
ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ৩২ হাজার আসনে যাত্রী পরিবহন করা হবে। স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে শুধু ঢাকার কমলাপুর, ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর ও গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে। মাঝপথে বিরতি নেয় এমন কোনো স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে না।
৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তাব-
রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরদিন থেকে পাঁচ দিন চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে।
ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে শুধু ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে যাওয়ার জন্য। এ ছাড়া আরও দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন ঈদের আগে ও পরের ছয় দিন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট রুটে চলবে।
যুক্ত হবে অতিরিক্ত বগি-ইঞ্জিন-
রেলের অবহিতকরণ সভায় ওঠা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ঈদযাত্রায় ৬৫টি অতিরিক্ত বগি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি মিটারগেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ২৫টি ব্রডগেজ বগি আনা হবে। এছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে পূর্বাঞ্চলে ১১৬টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১০২টি মিলিয়ে মোট ২১৮ অতিরিক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু