কালিহাতীতে অবৈধভাবে বালু বিক্রির মহোৎসব

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের শ্যামশৈল এলাকার নিউ ধলেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ওই বালু বিক্রি করে কোটিকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী বালুখেকোদের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, যমুনা নদীর উৎসমুখে নিউ ধলেশ্বরী নদী হতে শ্যালশৈল এলাকায় গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের চৈয়ারম্যান আঃ হাই আকন্দ, হুমায়ুন কবীর সুমন, আজহার ওহাব আলী, সবুর, ও আব্দুল লতিফ পরস্পর-পরস্পরের যোগসাজশে চেয়ারম্যানের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে নদী হতে বালু উত্তোলন করে নদীতীরবর্তী শ্যামশৈল এলাকায় বিশালাকার স্তুপাকারে সংরক্ষনের জন্য জমা রাখেন। পরবর্তীতে ওই স্তুপকৃত বালু ভেকু দিয়ে প্রতিদিন শতশত ট্রাক, ড্রাম ট্রাকযোগে বিক্রি করে প্রতিদিন লাখলাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এতে করে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছেন।

স্থানীয়দের ধারনা শ্যামশৈল এলাকায় ৫০ লক্ষাধিক ঘনফুট বিটবালু গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ ও তার সহযোগী বালু খেকোরা ইতোমধ্যেই বিক্রি করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ।

একটি সূত্র জানিয়েছে, আব্দুল হাই আকন্দ চেয়ারম্যান তার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের কতিপয় দূর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা- কর্মচারী, স্থানীয় প্রভাবশালী, রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং উপজেলা প্রশাসনের অধস্ত ব্যক্তিদের ম্যানেজ করেই তাদের অবৈধ বালু ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

দেশের অস্থিতিশীল অবস্থাকে পুজিঁ করে গত পনেরো দিন যাবত শ্যামশৈল এলাকার স্তুপাকারে সংরক্ষিত বালু দিনরাত ভেকু দিয়ে শতশত ড্রাম ট্রাকে অবাধে পরিবহন করে বিক্রি আসছেন তারা।

গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ বলেন, বেলটিয়ায় আমার দুটি বালু মহল আছে একটি প্লাষ্টারের মোটা বালু অন্যটি বিটবালু যার একটি মোটাবালু আমি ভূয়াপুর হতে কিনে এনেছি অপর বিটবালু নদী হতে উত্তোলন করেছি যেটির ব্যবসয়িক পার্টনার সাবেক চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার। বিটবালু পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তোলন করেছে বলে নিশ্চিত করে বলায় তিনি চুপ থাকেন।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, নদীর বালু পানি উনয়ন বোর্ড অথবা অন্য যেকোন ব্যক্তিই উত্তোলন করুকনাকেন তা সরকারি সম্পদ। নদীর উত্তোলিত বালু সবসময় পরিমাপ করে নিলামে বিক্রি করা হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন,এবছর পাউবো টাঙ্গাইল কালিহাতীতে কোন খনন কাজ করেনি,তবে গতবছর পাউবো নারায়ণগঞ্জ ড্রেজিং বিভাগ ওই এলাকায়, কিছু বালু উত্তোলন করেছিল, যা আমরা কালিহাতী উপজেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দিয়েছি। তারা টেন্টারে ওই বালু বিক্রি করার কথা ।

কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদাত হুসেন জানান, শ্যামশৈলের বালু সম্ভবত নিলামকৃত। ওই বালু নিলামকৃত নয় বলে নিশ্চিত করা হলে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সালে কথা বলতে বলেন এবং বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে অবহিত করার পরামর্শ দেন।