ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ, গন্তব্য যেতে মহাসড়কে হাজারো মানুষের অপেক্ষা

Spread the love

অন্তু দাস হৃদয় :

আর মাত্র ২দিন পরেই মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ঈদ ঈদুল আজহা। এর ফলে নারীর টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়ক। এর ফলে এ মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

মহাসড়কে আগের তুলনায় আজ সোমবার (২৬ জুন) যানবাহনের সংখ্যা অনেকাংশেই বেড়েছে। যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও স্বাভাবিক রয়েছে মহাসড়ক।

তবে ট্রাক, পিকআপ, মোটর সাইকেল ও মুরগির খাঁচার উপর বসে দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুদেরকেও ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যেতে দেখা গেছে। পাশাপাশি শতশত মানুষ গন্তব্যস্থলের জন্য মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

তবে মহাসড়কে যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশ নিরলস ভাবে কাজ করছে।

সরেজমিনে, আজ সোমবার (২৬ জুন) বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় মহাসড়কে আগের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে।

বিশেষ করে উত্তর বঙ্গগামী যানবাহনের সংখ্যা বেশি। বাসের পাশাপাশি চাপ রয়েছে ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের। এ সব যানবাহনে গাদাগাদি করে মানুষ যাচ্ছে। আবার সিএনজি বা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় ভেঙে ভেঙে চলাচল করছে মানুষ।

বিশেষ করে যাত্রীরা বাস না পেয়ে ঝুঁকি নিয়েই ট্রাক ও পিকআপে আর বাড়ি ফিরছে। পাশাপাশি শতশত মানুষ গন্তব্যস্থলের জন্য মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতে কাঙ্খিত পরিবহন না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

এ দিকে ঈদযাত্রায় মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে রোড শো করেছে বিআরটিএ সার্কেল টাঙ্গাইল বিভাগ। সোমবার বিকেলে মহাসড়কের এলেঙ্গায় বিআরটিএ জেলা শাখার সহকারী পরিচালক আলতাব হোসেনের নেতেৃত্বে এ রোড শো করা হয়।

এ বিষয়ে কয়েকজন যাত্রী বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও মহাসড়কে কাঙ্খিত বাস পায়নি। আবার দু’একটি বাস পাওয়া গেলেও ভাড়া পাচ্ছে দ্বিগুন। তাই বাধ্য হয়েই ট্রাক ও পিকআপপে করে কম খরচে বাড়ি ফিরছি। ঝুঁকি হলেও বাধ্য হয়েই আমাদের যেতে হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে, টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফেরার বিষয়টি লক্ষ করেছি। যেখানে থেকে যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে উঠছে, সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবুও পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছেন।

যুগধারা ডট টিভি/অন্তু