মুক্তার হাসান :
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ৫নং ছিলিমপুর ইউনিয়নের গালুটিয়া গ্রামের মৃত ফালু মন্ডলের ছেলে চিহিৃত মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
রবিবার বিকেলে গালুটিয়া বাজার ও মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের বাড়ীর সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করে স্থানীয় এলাকাবাসি ও যুবসমাজ। কয়েক শ’ লোক এ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে। মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরকে কোন ভাবেই গ্রেফতার করছে না পুলিশ। এলাকাবাসির অভিযোগ পুুলিশের সাথে আতাত করেই নাকি সে এ মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বলতে তার বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তবে মাদক ও মাদক সেবনের জিনিসপত্র পাওয়া গেছে তার ঘর থেকে। পরে সেগুলো উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সুজায়েতের কাছে জমা রাখে স্থানীয় জনতা। জাহাঙ্গীরের দুই মেয়ে ও ছেলে বউ’র কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের জন্মের আগ থেকেই বাবা গাজা-মদ খায় আমরা জানি। তবে বিক্রি করে কিনা জানি না।
নেশা না করলে বাবার গলা দিয়ে রক্ত বের হয়, এক পর্যায়ে মৃত্যুর দোয়ার পর্যন্ত চলে যায় সে। অবশেষে বাধ্য হয়েই তাকে মাদক সেবন করতে হয়। আর আমার চাচা’রা ছোট সময়েই আমার বাবাকে মাদক সেবন করতে শিখিয়েছে অপরাধ যদি হয় তাহলে মুল অপরাধী তারা। তারাই আমার বাবাকে নষ্ট করেছে।
এ ব্যপারে অত্র ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান আমিন বলেন, জাহাঙ্গীর এতো আগে থেকে গাঁজা সেবন ও বিক্রি করে এসব পুলিশ জেনেও কেনো তাকে ধরছে না এটা আমার বোধগম্য নয়। তবে আমি চাই তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহাগ হোসেন বলেন, জাহাঙ্গীর যুব সমাজটাকে নষ্ট করে ফেলছে এটার একটা প্রতিকার হওয়া দরকার।
এলাকাবাসী জানায়, জাহাঙ্গীরকে এসব করতে মানা করলে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখায় এবং উল্টাপাল্টা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তাই কোনো ধরনের প্রতিকার না মেলায় আমরা এলাকাবাসি জড়ো হয়ে তার বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ করছি।
জানতে চাইলে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সুজায়েত হোসেন বলেন, আমি যতদুর জানি জাহাঙ্গীর শুধু একা না তার দুই মেয়ে ও জামাতাও এ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। যেখানে প্রধান মন্ত্রী শেখ-হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স জারি করেছে সেখানে প্রশাসনের ছত্র ছায়ায় কি ভাবে সে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এটা আমার বোধগম্য নয়। আমি প্রশাসনকে বলবো যত তারাতারি সম্ভব তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। তানা হলে এই যুব সমাজটাকে সে ধ্বংস করে ফেলবে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানার (ওসি) আবু সালাম মিয়া পিপিএম এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু