টাঙ্গাইলে মাছ ব্যবসায়ী বাপ্পী হত্যা মামলায় তিনজন গ্রেপ্তার

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার :

টাঙ্গাইলে মাছ ব্যবসায়ী আলী আকবর বাপ্পী হত্যা মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ । 

শনিবার (২৭ মে) বিকেলে টাঙ্গাইল সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু সালাম মিয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান। এ হত্যাকান্ডে পুলিশ ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পাড় দিঘুলিয়া এলাকার মো. নূর মিয়ার ছেলে মো. রাজু আহম্মেদ হাবলু (৩১), ঝন্টু বেপারীর ছেলে মো. খোকন (৩৪) ও মৃত শহীদ বেপারীর ছেলে ওলি (৩২)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, নিহত বাপ্পী ও গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজারে খুচরা মাছ ক্রয়-বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। পার্ক বাজারে দুইটি মাছের দোকান ভাগাভাগি নিয়ে আসামী খোকন, ওলি ও নিহত বাপ্পীর মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। দোকান ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে আসামী মোঃ রাজু আহম্মেদ হাবলু, খোকন ও ওলি তিনজনে মিলে বাপ্পীকে হত্যা করে দুইটি দোকান তিন ভাগ করে তিনজনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী গত (২২ মে) বিকেলে কালিপুরে খোকনের অটো গ্যারেজে বসে তারা বাপ্পীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী মোঃ রাজু আহম্মেদ হাবলু নিহত বাপ্পীকে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দিঘুলিয়া ব্রীজের পাশে নদীর পাড়ে বটগাছের নিচে নিয়ে খোকন ও ওলির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।

পরে রাত ১.৩০ মিনিটের দিকে খোকন ও ওলি তাদের হাতে থাকা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দা-বটিসহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে বাপ্পীর উপর হামলা করে।

পরে দিঘুলিয়া শহীদ মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তার উপরে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামীরা বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু সালাম মিয়া জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সার্বিক দিক-নিদের্শনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করা হয় এবং সকল আসামী স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২২ মে) দিবাগত রাত ১.৩০ মিনিটের দিকে দিঘুলিয়া শহীদ মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বাপ্পীকে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

পরে (২৩ মে) নিহত বাপ্পীর মা আজিমন বেগম বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

যুগধারা ডট টিভি/অন্তু