স্টাফ রিপোর্টার:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, ভর্তি শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ফি আদায় কলেজের বিভিন্ন প্রজাতির ৭টি গাছ কর্তনের অভিযোগ ও ছুটি না নিয়ে বিদেশ ভ্রমণের অভিযোগে লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষকে ৬মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়েছে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। সেই সাথে আগামী ১০দিনের মধ্যে অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাছান আলীকে ৬মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করেছেন গভর্নিং বডির সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল। একই সাথে কলেজের উপাধ্যক্ষ গোলাম রব্বানীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
অধ্যক্ষকে দেয়া কারণ দর্শানো চিঠিতে বলা হয়েছে, লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাছান আলী এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, ভর্তিতে অনিয়ম, এছাড়া কলেজের বিভিন্ন প্রজাতির ৭টি গাছ কেটে বিক্রি করেন। সেই বিক্রির কিছু টাকা কলেজে জমা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাত করেছেন। এছাড়া বিনা ছুটিতে কলেজের কোন শিক্ষককে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর তিনি ভারত ভ্রমণে যান। পরবর্তিতে তিনি ২৭ তারিখে কলেজে যোগদান করেন। এসব ঘটনায় ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তাকে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে চিঠিতে। এরআগে ঘটনাগুলো তদন্তের জন্য ৩সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। তদন্তের প্রেক্ষিতে সভায় গত ২৮ ডিসেম্বর কলেজ গভর্নিং সভায় তার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রেক্ষিতে এ সিদান্ত নেন।
লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাছান আলী বলেন, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। বাধ্যতামূলক ছুটি বলতে কিছু নেই। ছুটির চিঠি পেয়েছি সময়মত জবাব দেয়া হবে।
লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল জানান, অধ্যক্ষ হাছান আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠায় ৩সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ২৮ ডিসেম্বর জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভাতে অধ্যক্ষকে ৬মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়েছে। সেইসাথে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে অধ্যক্ষকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।