স্টাফ রিপোর্টার ঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ফসলের মাঠ জুড়ে যতদুর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। এ যেন হলুদের রাজ্য। সরিষা ক্ষেতের এ হলুদ রাজ্যেই লুকিয়ে আছে কৃষকের স্বপ্ন। তবে এ বছর সরিষার ফলন ঘরে তোলার আগেই মধু সংগ্রহে বাড়তি আয়ের নতুন স্বপ্ন দেখছে মৌ-চাষিরা। মৌ চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে আধুনিক মৌ বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ-চাষিরা। মধু চাষে কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। সরিষা ক্ষেতে মধু উৎপাদন যত বেশি হবে মৌ-মাছির দ্বারা ফুলে ফুলে পরাগায়ন তত বেশি ঘটবে, ফলে সরিষার উৎপাদনও বাড়বে।
মৌ-চাষি দুলাল মিয়া, ঝুমুর, ফারুক ও রুবেল জানান, সরিষা মৌসুমে মধুচাষে বেশ লাভবান হচ্ছি। কিন্তু মৌসুম শেষে বেশি দামে চিনি কিনে মৌমাছি গুলো বাঁচিয়ে রাখতে ব্যাপক খরচ পড়ে। তখন হিমশিম খেতে হয়। প্রণোদনা ও সুদবিহীন ঋণ প্রদান করলে মৌ-মাছি পালনে আগ্রহী চাষির সংখ্যা এবং মধু উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, এ বছর উপজেলায় ১ টি পৌরসভাসহ ৬ ইউনিয়নে ২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। এসব জমির পাশে ৭’শত মৌ-বক্স থেকে ইতিমধ্যে ২ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ থেকে আরও ৫ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. হুমায়ূন কবীর জানান, দুলাল মিয়া, ঝুমুর, ফারুক, রুবেল ও আশরাফসহ ১৫ জন মৌচাষি রয়েছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ মধু সংগ্রহের আশা করছি। এছাড়া মৌচাষিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে লক্ষ্যে তিল, ধনিয়া, কালোজিরা ও লিচু ফলের বাগানে মৌ-চাষের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।