যুগধারা ডেস্ক :
চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় গণভবনে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় প্রার্থী চূড়ান্ত হয়।
নৌকা পেতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন কেন্দ্রীয়, স্থানীয় নেতা, অভিনেতা, ব্যবসায়ী ও সাবেক আমলাসহ মোট ২২ জন।
এর মধ্যে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন ছোটপর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানও।
কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাশেষে গণভবনের বাইরে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
এ দিকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের। এর পর গভীর রাতে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-১৭ আসনের জন্য আমাকে সিলেকশন করেননি। সে কারণে একটু মন খারাপ।’
‘কিন্তু মন খারাপ হলে মানুষ কী করে, মানুষ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। সে জন্য আমিও ঘুরতে আসছি দুবাইয়ে এবং কেনাকাটা করতে। অনেকেই আছে যে মন খারাপ হলে ঘুরলে এবং কেনাকাটা করলে মন ভালো হয় আমারও তাই। আমি আওয়ামী লীগের লোক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ এবং প্রধানমন্ত্রীর আদর্শের সৈনিক। নৌকার মানুষ আমি।
আমি সেই জায়গা থেকে বলতে চাই— ঢাকা-১৭ আসন থেকে যাকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে আমি সত্যিকার অর্থে মানুষটার পক্ষেই কাজ করব, নৌকার পক্ষে কাজ করব। কারণ আমি নৌকার বাইরের মানুষ না। আমি আওয়ামী লীগের,’ বলেন এ অভিনেতা।
ওই ভিডিওবার্তায় সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যারা যারা এই নৌকার মাঝি হওয়ার জন্য নমিনেশন পেপার উঠিয়েছিলেন, আমি ছাড়াও ২১ জন। এই ২১ জনের মধ্যে আমার বাবার সমতুল্য মানুষও ছিল।
আমি তাদের একটা কথা বলতে চাই— দিনশেষে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সৈনিক হয়ে বাঁচতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে বাঁচতে চাই। সে জন্য আমি বলব, আসুন আমরা সবাই মিলে উন্নয়নের মার্কায়, নৌকার পেছনে থাকি। নৌকাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার সেগুলো করি।’
ছোটপর্দার এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি বলতে চাই— প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকার কাণ্ডারি করে ঢাকা-১৭ আসনের জন্য নমিনেশন দিয়েছেন, আমরা সবাই যদি তার জন্য কাজ করি, আমার মনে হয় সেটি হবে সত্যিকারে আওয়ামী লীগের পরিচয় দেওয়া। আমি আশা করব গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট এবং ভাসানটেক এলাকার মানুষগুলো একত্রিত হয়ে নৌকাকে জয়ী করবে আগামী উপনির্বাচনে।’
সিদ্দিকুর বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে হয়তো বা আমাদের দেখতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন যে তার যোগ্যতার মাপকাঠিতে আমরা আসলেই যোগ্যতা অর্জন করেছি, তা হলে এখান থেকে আমাদের যে কারও একজনকে দেখতে পারেন এই ঢাকা-১৭ আসনের জন্য বা বাংলাদেশের অন্য একটা জায়গার জন্য। সর্বোপরি সবাইকে বলব— অচিরেই ফিরে আসব বাংলাদেশে। সবাই ভালো থাকবেন, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সুস্থভাবে দেশে ফিরে আসতে পারি।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু