আব্দুল লতিফ :
সফল চেয়ারম্যান হওয়া একটা স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে প্রতিবন্ধকতা। যে ব্যক্তি এসব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাবেন তিনিই হবেন সফল। আজ এমনই একজন সমাজ সেবকের কথা জানাচ্ছি- যিনি অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ব্যক্তি (চেয়ারম্যান) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
তিনি হলেন- টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ৭ নং দিগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন ফণি। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও মানুষের প্রত্যাশা থাকে।
তিনি তার পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য, সর্বোপরি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এবং প্রতিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জয়লাভের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ফারুক হোসেন ফণি কাজে সফলও হয়েছেন। সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন এবং সহযোগিতার আশাও ব্যক্ত করে চলেছেন। চেয়ারম্যান হিসেবে সফলতা পাওয়ায় তিনি ঘাটাইল উপজেলার সর্বত্র সম্মানিত হচ্ছেন। তারুণ্যের প্রতীক এ ব্যক্তি তার বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন। তার কর্মকাণ্ডে মনে হয় তিনি নবীন নয়। তিনি অনেক প্রবীণ। তার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক।
এ সকল সফল মানুষের পেছনে আছে কিছু গল্প, তা অনেকটা রূপকথার মতো। আর সেসব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার সম্বল, এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রেরণা। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তার সাথে দলের ভাবমূর্তির উন্নয়ন হয়েছে। অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সমাজসেবী মোঃ ফারুক হোসেন ফণি।
ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সদাহাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তার মাঝে কোনো অহংকার নেই। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয়। কাজ করছেন নৌকার জন্য। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য। এই সফল মানুষটি দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের বিপদআপদে ছুটে যান।
এলাকায় তিনি এক জন সাদা মনের উদার মানসিকতার ও দানশীল মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন। এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, আমরা নেতা বা চেয়ারম্যান বুঝি না। মোঃ ফারুক হোসেন ফণি চেয়ারম্যান একজন ভালো মানুষ। তিনি একজন কর্মঠ ব্যক্তি। তিনি চেয়ারম্যান পদে থাকলে আমাদের তথা এলাকার উপকার হবে। আমাদের দুঃখ-দুর্দশায় তাকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও মেধাবী সমাজ সেবক এবং উদীয়মান নেতা হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। নির্বাচন কালীন সময়ে সাধারণ জনগনকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে সবশ্রেণির মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন ফণি। এই ইউনিয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশ পরিচালনার সময় যে উন্নয়ন হয়েছে তার বিন্দু মাত্র উন্নয়ন মূলক কাজ বিগত কোন সরকারের আমলে হয়নি। ইউনিয়নে রাস্তঘাট নির্মাণ, বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ, শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছে। এই জন্যই জনসাধারণের মন্তব্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান উন্নয়নের রূপকার মোঃ ফারুক হোসেন ফণি।
তা ছাড়া তিনি ইউনিয়নের প্রতিটি নাগরিকের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর রাখছেন। অসহায় মানুষদের মানবতার সেবায় এগিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। তিনি দিন-রাত পরিশ্রমের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি ৭ নং দিগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র কিছু দিনের মাথায় তার প্রিয় ইউনিয়নকে উন্নয়নের মাস্টার প্ল্যানের আওতায় এনে ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। দৃশ্যপট পরিবর্তন করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের। ঘাটাইলে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ৭ নং দিগড় ইউনিয়ন পরিষদ। মেধা, মনন, কর্ম প্রয়াস শ্রম ও অধ্যাবশায়ের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে গড়েছেন পরিশীলিতভাবে এক উজ্জ্বল অধ্যায়ে। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সর্বোপরি গরীব মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি ৭ নং দিগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার উন্নয়নে মহা-পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। গৃহিত পরিকল্পনার আলোকে তিনি একের পর এক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন সম্পন্ন করেছেন।
তিনি পাকুটিয়া আজমতের বাড়ির পাকা রাস্তার মাথা হতে নুরু মেম্বারের বাড়ির অভিমুখের রাস্তা মাটি দ্বারা ভরাট। নজুনবাগ হাতেমের বাড়ি হতে পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ অভিমুখে সিসি করন। নয়াবাড়ি পাকা রাস্তা হতে কাদের এসপি বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা আর সি সি করন। কাশতলা ডাবইর প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে মাসুমের বাড়ি পর্যন্ত পূনঃর্নিমান। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের প্রিন্টার সরবরাহ। হামিদপুর বায়ানবাড়ি আরশেদ তালুকদারের বাড়ি হতে মোবারকের বাড়ি পর্যন্ত সিসি করন। ব্রাহ্মন শাসন মহিলা কলেজে আসবা পত্র সরবরাহ। কৈডলা সাত্তারের বাড়ি হতে রাজ্জাকের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুর্নঃ নির্মান।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের রুম ডেকোরেশন করন। মানাজী ভঙ্গুরের বাড়ি হতে হাফিজুলের বাড়ি পর্যন্ত পূর্নঃ নির্মান। এলজিইডি, এলজিএসপি, কাবিটা, টিআর, কাবিখা, থোক বরাদ্দ, টিআর সহ বিভিন্ন প্রকল্প স্বচ্ছতার সহিত বাস্তবায়ন করে ইউনিয়নকে উন্নয়ন বান্ধব করে যাচ্ছেন।
৭ নং দিগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন ফণি বলেন, এ ইউনিয়নে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন আ. লীগ সরকার দেশ পরিচালনার সময় যে উন্নয়ন হয়েছে। সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানে সহযোগিতায় আমি এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তায় ইটের সলিং, প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন ভবন বাউন্ডারি বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক ক্স বিশুদ্ধ পানির স্থাপন, নতুন নতুন রাস্তা নির্মান রাস্তা পাকা করণ, ড্রেন নির্মাণ, ই সেবা কেন্দ্রে আধুনিক সরঞ্জাম প্রদান, ব্রীজ নির্মাণ, বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ তার উদ্যোগে হয়েছে। আর্সেনিক মুক্ত টিউবয়েল স্থাপন। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির মাদরাসা, ঈদগাহ ও কবর স্থানে ব্যাপক অনুদান প্রদানের মাধ্যমে তিনি এলাকাবাসির কাছে ইউনিয়নের রুপকার হিসাবে নিজের অবস্থান করে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করে যাচ্ছি এবং আধুনিক ইউনিয়ন রূপান্তরিত করার জন্য ভবিষ্যতে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে ৭ নং দিগড় ইউনিয়নবাসী এ প্রতিবেদককে বলেন, ইউনিয়নের বর্তমান জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ফণি খুব সহজে তিনি মানুষের মনের কথা বুঝতে পারতেন। যার ফলে এলাকাবাসী তাকে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ফারুক হোসেন ফণি ইউনিয়নের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন একাধারে। সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক সেবার অনন্য উদ্যোগ তাকে একজন মানবদরদী ও মহতী মানুষের উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে। তিনি এলাকার দরিদ্র জনগোষ্টির উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তিনি এ পর্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নসহ স্কুল, মাদ্রাসা, কবরস্থান, মসজিদ, ঈদগাঁমাঠ সংস্কার করে গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা সঠিকভাবে বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছেন।
এ ছাড়াও তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়মিত অফিস করেছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফলভাবে করেছেন যা এখনো চলমান আছে। আগামী দিনে ৭ নং দিগড় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ফণি সততা ও কর্মদক্ষতার সাথে ইউনিয়নে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ইউনিয়নকে আধুনিক মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন এমনটাই প্রত্যাশা ইউনিয়নবাসীসহ সকলের।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু