শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বস্বীকৃত : কৃষিমন্ত্রী

Spread the love

যুগধারা ডেস্ক :

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্বস্বীকৃত।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় উঠে এসেছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা একটি প্রতিবেদনে বলেছে, চাল, আলু, আম, সবজিসহ ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন শীর্ষ দেশের একটি। 

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, কিন্তু কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে ও কৃষিপণ্যের রপ্তানিতে আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি। অথচ এখানে অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারির বলরুমে নেদারল্যান্ডস দূতাবাস আয়োজিত বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের কৃষি-বাণিজ্য মিশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ড. আব্দুর রাজ্জাক।

চারটি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে কৃষিখাতে বিনিয়োগ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এবং সেচ ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এসব খাতে নেদারল্যান্ডসের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও বিনিয়োগ প্রয়োজন।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের অবকাঠামো ও সরকারি সুযোগ-সুবিধার বিস্তারিত তুলে ধরে নেদারল্যান্ডসের এগ্রি ট্রেড মিশনকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য এই খাতগুলো খুবই সম্ভাবনাময় এবং তা লাভজনক হবে। দেশে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। কাজেই আপনারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসুন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, ফরেন ইনভেস্টমেন্ট চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স থিজ উডস্ট্রা, নেদারল্যান্ডসের এগ্রি ট্রেড মিশনের প্রধান উইস ভ্যান লিউভেন, নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দূত ফ্রেডেরিক ভসেনার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ এবং নেদারল্যান্ডসের মধ্যে কৃষি ও ডেইরি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এ মিশন কাজ করবে। তিন দিনব্যাপী এই মিশনে নেদারল্যান্ডসের নয়টি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং বিনিয়োগ ও সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো শনাক্ত করবেন।