যুগধারা ডেস্ক :
বলিউডের বরেণ্য অভিনয়শিল্পী ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। এ জুটির প্রেম কাহিনি কারো অজানা নয়। বিবাহিত অবস্থায় হেমার প্রেমে পড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। সব বাধা কাটিয়ে ঘরও বাঁধেন এই যুগল। ১৯৮১ সালে এ দম্পতির প্রথম সন্তান এষা দেওলের জন্ম হয়। এষার জন্মের সময়ে পুরো একটি হাসপাতাল বুক করেছিলেন ধর্মেন্দ্র।
হেমা মালিনীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু নীতু কোহলি। তার একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে নীতু কোহলি বলেন, ‘এষার যখন জন্ম হতে যাচ্ছিল, তখন কেউ জানতেন না হেমা গর্ভবতী। তাই ধরমজি পুরো হাসপাতাল বুক করে রেখেছিলেন। এটি ১০০ রুমের একটি নার্সিং হোম ছিল। তিনি এষার জন্য ১০০টি রুম বুক করেছিলেন। কেউ জানতেন না ধরমজি এই কাজটি করেছিলেন। নিজের জীবনসঙ্গীর জন্য এমন চমৎকার ব্যবস্থা করে হেমাকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি।
মাত্র ১৯৫৪ সালে প্রকাশ কৌরকে প্রথম বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র, তখন তার বয়স ১৯ বছর। ওই সময়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেননি তিনি। এ সংসারে দুই পুত্র সানি দেওল, ববি দেওল এবং দুই কন্যা অজিতা দেওল এবং বিজয়তা দেওলের জন্ম হয়।
১৯৭০ সালে ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন হেমা মালিনী-ধর্মেন্দ্র। এ সিনেমার শুটিং সেটে তাদের প্রথম দেখা হয়। সেখান থেকে মনের লেনাদেনা শুরু। যদিও তখন প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ হয়নি ধর্মেন্দ্রর। সবকিছু উপেক্ষা করে ১৯৮০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই প্রেমিক জুটি। ১৯৮১ সালের ২ নভেম্বর গোপনে এষাকে জন্ম দেন হেমা মালিনী।