যুগধারা ডেস্ক :
ফেসবুক লাইভে আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে পল্টন থানায় হওয়া এক মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নামে করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াৎ এ আদেশ দেন।
এদিন নুরের নামে দেওয়া চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতার দিন ধার্য ছিল। আদালত প্রতিবেদন আমলে নেওয়ার মতো কোনো উপাদান না থাকায় মামলা খারিজ করে আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম এসব তথ্য জানান।
সম্প্রতি এ মামলায় নুরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। চার্জশিটে নুরকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।
চার্জশিটে নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫/২৮/২৯/৩১ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়।
মামলার চার্জশিটে বলা হয়েছে, আসামি নুরুল হক নুর ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে আসেন। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, মানহানিকর, উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। যার মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করেন।
তিনি দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা অবনতি, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণির মধ্যে শত্রুতা বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করাসহ অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টির চেষ্টা করেন।
প্রায় দুই বছর আগে ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল সংগীতশিল্পী পরিচয়ে ইলিয়াস হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৪ এপ্রিল নুরুল হক তার ফেসবুক পেজ থেকে বক্তব্য দেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে, এমন আপত্তিকর, আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন। নুরের ওই বক্তব্যের নিচে অনেকে লাইক দিয়েছেন ও মন্তব্য করেছেন। ওইসব মন্তব্যের ভেতর সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য আছে।
ইলিয়াস হোসেনের অভিযোগ, নুরুল হকের এই বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত হানে।
নুরুল হকের বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল, দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণির মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু