‘আমরা রাম চরণের বাবা-মায়ের কাছে ফিরছি’

Spread the love

যুগধারা ডেস্ক :

দক্ষিণী সিনেমার মেগাস্টার রাম চরণ। ২০১২ সালে ১৪ জুন উপাসনার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তিনি। বিয়ের ১০ বছর পর সন্তানের বাবা-মা হতে যাচ্ছেন এই দম্পতি। উপাসন এখন নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

রাম চরণের আরেক পরিচয় তিনি মেগাস্টার চিরঞ্জীবীর পুত্র। তবে বাবা-মায়ের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করতেন না রাম চরণ। সন্তানের আগমন উপলক্ষে রাম চরণের বাবা-মায়ের কাছে ফেরার পরিকল্পনা করেছেন উপাসনা।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উপাসনা বলেন— ‘সন্তান জন্মদানের আগে অনেক দম্পতি বিদেশে পাড়ি জমায়। কিন্তু আমরা তার বিপরীত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমরা রামের (রাম চরণ) বাবা-মায়ের কাছে ফিরছি।

আমরা দুজনেই এমন পরিবারে বেড়ে উঠেছি, যেখানে আমাদের দাদা-দাদি আমাদের লালন-পালনে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছেন। আমরা আমাদের সন্তানকে এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত করতে চাই না। তাই আমরা রামের বাবা-মায়ের বাড়িতে ফেরার পরিকল্পনা করেছি এবং তাদের সঙ্গে আমাদের সন্তানকে বড় করতে চাই। আমাদের দুজনেরই পেশাগত দায়িত্ব রয়েছে। সুতরাং তাদের সহযোগিতা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

আগামী জুলাই মাসে সন্তানের মুখ দেখতে পাবেন উপাসনা-রাম চরণ। ছেলের বাবা হতে যাওয়ার খবরটি প্রথমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন রাম চরণের বাবা চিরঞ্জীবী। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এক টুইটে এই খবর জানান তিনি।

কলেজ জীবন থেকেই একে অপরকে চিনতেন রাম চরণ ও উপাসনা। বন্ধু মহলে তারা ছিলেন আলোচিত। অম্ল-মধুর সম্পর্কে সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন। এরপর এক সময় রামচরণ দেশের বাইরে যান। তখন পরস্পরের সঙ্গ মিস করতেন তারা। সবাই ধরেই নিয়েছিল প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন দু’জন। কিন্তু তখনও পরস্পরকে বন্ধুই ভাবতেন তারা।
রামচরণের ‘মাগাধীরা’ সিনেমাটি মুক্তির পরই মূলত উপাসনার সঙ্গে এই অভিনেতার প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। দু’জনের পরিবারের মধ্যে বেশ মধুর সম্পর্ক ছিল, এজন্য বিয়ে নিয়েও কোনো ঝামেলা হয়নি।

২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের টেম্পল ট্রি ফার্মসে রাম চরণ ও উপাসনার বাগদান হয়। জাঁকজমকপূর্ণ এই আয়োজনে ছিলেন দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনরা। তাদের বাগদান নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বেশ উন্মাদনা ছিল। তাকে নিয়ে মিডিয়ার মাতামাতিতে বেশ বিব্রত ছিলেন উপাসনা। তবে সবকিছু বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন রাম চরণ। ২০১২ সালের ১৪ জুন পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে এই জুটির বিয়ে ও বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।