উৎপাদন খরচের দ্বিগুণ দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি

Spread the love

যুগধারা ডেস্ক :

উৎপাদন খরচের প্রায় দ্বিগুণ দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। বেচা-কেনার কোনো পর্যায়ে মিলছে না প্রকৃত রশিদ বা কাগজপত্র। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান চুক্তিভিত্তিক ফার্মিংয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করছে মুরগির বাজার।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ভোক্তা অধিদপ্তর আয়োজিত সভায় এসব কথা উঠে আসে। সংস্থাটি বলছে, কৃষি বিপণন আইন মানছেন না ব্যবসায়ীরা।

তুলনামূলক সস্তা প্রোটিনের উৎস হিসেবে পরিচিত ব্রয়লার মুরগি। কিন্তু খুচরা বাজারে প্রতি কেজির দাম এখন আড়াইশ টাকায় ঠেকেছে। দুই-তিন মাসের ব্যবধানে দাম হয়েছে দেড়গুণ। ব্রয়লারের দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে মাঠে নামে ভোক্তা অধিদপ্তর। সেখানে দোকানিদের কাছ থেকে বেচা-কেনার সঠিক তথ্য পায়নি সংস্থাটি।

ভোক্তা অধিদপ্তরে পোলট্রি খাতের উৎপাদন ও বিপণন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রান্তিক খামারিরা অভিযোগ করেন, গুটিকয়েক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের হাতে জিম্মি তারা।

এ সময় খোদ উৎপাদক কাজী ফার্মস লি. পরিচালক কাজী জাহিন হাসান বলেন, গত বছর মুরগির বাচ্চায় বড় লোকসান দিয়েছেন। এখন উৎপাদন সপ্তাহে পৌনে দুই কোটি থেকে কমে, দেড় কোটির নিচে নেমেছে। তাই বাড়তি চাহিদায় ব্রয়লার মুরগি পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে, ১৯০ থেকে ২০৫ টাকা কেজিতে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা করছেন। কেনা-বেচায় রশিদ সংরক্ষণের নির্দেশ না মানলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হঁশিয়ারি দেন সংস্থার মহাপরিচালক।

সভায় পাওয়া তথ্য নিয়ে, উৎপাদন খরচ অনুসন্ধান এবং বাজারে ব্রয়লারের দাম কত হওয়া উচিৎ, সে বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দেবে ভোক্তা অধিদপ্তর।

যুগধারা ডট টিভি/অন্তু