যুগধারা ডেস্ক :
তিন মাস পার হলেও এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি। পুলিশের ধারণা দেশের ভেতর জঙ্গিদের কোন এক আনসার হাউজে আত্মগোপনে তারা। ৩ মাসে একবারও কারো সঙ্গে যোগাযোগ না করা এবং যোগাযোগে এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ব্যবহার করায় তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে প্রাঙ্গণ থেকে গত ২০ নভেম্বর প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি মইনুল হাসান শামীম ও আবু ছিদ্দিক সোহেলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। পরে কতোয়ালী থানায় ২০ জনের নামসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধের মামলা করে পুলিশ।
এ পর্যন্ত মেহেদি হাসান অমি, ওমর ফারুকসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তারের পর ছিনতাইয়ে নেতৃত্ব দেওয়া ৬-৭ জনকে শনাক্ত করা গেছে। তবে, গ্রেপ্তার করা যায়নি পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গিকে।
জঙ্গিবিরোধী বিশেষ ইউনিট ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম-সিটিটিসির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার পর থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেও শনাক্ত করা যায়নি পলাতক দুই জঙ্গিকে।
তবে, পলাতক জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী শিখার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। সেই মূলত কারাগার থাকা জঙ্গি ও ছিনতাইয়ে অংশ নেওয়াদের মধ্যে সমন্বয় করেছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা
এ দিকে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলছেন, সময়ের ফ্রেমে বেঁধে খুঁজে বের করা যাবে না জঙ্গিদের। ১০-১৫ বছর আত্মগোপনে থাকা ফাঁসির আসামিদের খুঁজে বের করা হয়েছে। আত্মগোপনে থেকেও ভুল করবেই জঙ্গিরা। সেই ভুলের অপেক্ষায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
তবে, দেশে থাকার পরও গ্রেপ্তার করতে না পারা তদন্তকারীদের চরম ব্যর্থতা বলছেন অপরাধ বিশ্লেষকেরা। ছিনিয়ে নেয়াদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে না পারলে জঙ্গি নির্মূলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অর্জন ম্লান হয়ে যেতে পার বলে মত বিশ্লেষকদের।