যুগধারা ডেস্ক :
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সক্রিয় ১১টি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে জমা দেয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, আরসা, আরএসও’র মত গোষ্ঠীগুলো উখিয়া টেকনাফে বিরাজমান। সন্ত্রাসীদের এই অবস্থান ও সক্রিয়তাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পগুলো দিনকে দিন হয়ে উঠছে দুশ্চিন্তার কারণ। কোনো ক্যাম্পের গভীরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিও কখনও কঠিন হয়ে ওঠে। সে সুযোগে বাড়ছে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে জমা দেয়া এক রিপোর্টে বলা হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ১১টি সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আরসা সক্রিয় রয়েছে উখিয়া, বালুখালী, পালংখালী ও হোয়াইক্যং শিবিরে। আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) সক্রিয় উখিয়া ও পালংখালী শিবিরে।
হোয়াইক্যং শিবিরে সক্রিয় ইসলামি মাহাজ। উখিয়া ও পালংখালী শিবিরে মাস্টার মুন্না দল সক্রিয়। নয়াপাড়া শিবিরে সক্রিয় আছে ছয়টি দল। এগুলো হলো—চাকমা ডাকাত দল, নবী হোসেন ডাকাত দল, পুতিয়া ডাকাত দল, জাকির ডাকাত দল, সালমান শাহ ডাকাত দল ও খালেক ডাকাত দল। জাবু ডাকাত দল সক্রিয় হোয়াইক্যং ক্যাম্পে।
বেশির ভাগ শিবিরে আরসার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, কিছু শিবিরে নবী হোসেন দলের আধিপত্য আছে। শিবিরগুলোতে আধিপত্য বিস্তারকেন্দ্রিক সংঘর্ষ ঘটছে। এ অবস্থায় বিশেষ করে আরসা ও নবী হোসেন দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকেন্দ্রিক বিষয়গুলো আমলে নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।
পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখার তৎপরতা বাড়ানোর মাধ্যমে আরসা ও নবী হোসেন দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, ঘাঁটি উৎখাতের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনারও সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে।
এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন,রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয়তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। সশস্ত্র গোষ্ঠীদের আস্ফালন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে তা আগামীতে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলেও মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু দাস হৃদয়