যুগধারা ডেস্ক :
বেশ দ্রুতই দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। গতকাল রোববার (২৮ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৭৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর একদিন পরই এই সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৯ জন। দৈনিক আক্রান্তের এই সংখ্যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে এই সময়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
সর্বশেষ গত বছরের ২৬ অক্টোবর ১৯৬ জন করোনা রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দেড়শর নিচে ছিল।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে ৩ হাজার ৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ওই ১৫৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের দিন যা ছিল ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
জানা গেছে, নতুন শনাক্ত রোগীদের ১৩৯ জন ঢাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া গাজীপুরে ১৫ জন, নেত্রকোনায় দুজন এবং নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ ও সিলেটে একজন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২২ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত এক সপ্তাহে ৩৪৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে, যা তার আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৩৩ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে, অর্থাৎ ১৫ থেক ২১ মে’র মধ্যে দেশে ১৪৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ লাখ ৩৯ হাজার ১৩০ জন। মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ৪৪৬ জন রয়েছে।
সর্বশেষ গত ২৮ মার্চ দেশে করোনায় আক্রান্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এরপর টানা ৬২ দিন এই ভাইরাসে আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন করোনা রোগী সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ২০ লাখ ৬ হাজার ২৩৩ জন।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু