টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের জয়নাবাড়ী(কুটুরিয়া) গ্রামে অবৈধ ফাইভ স্টার ইটভাটায় অবাধে পুড়ছে বনের কাঠ। বনের কাঠ পুড়ায় একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য হারাচ্ছে অন্যদিকে তিন ফসলী জমিতে ভাটা গড়ে উঠায় কমে যাচ্ছে ফসলী জমি। এছাড়াও ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি হুমকির মুখে পরিবেশ। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রসাশনের নজরদারী না থাকায় অবাদে বনের কাঠ পুড়াছে ইটভাটার মালিক লিটন মিয়া।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা উপজেলার জয়নাবাড়ী কুটুরিয়া গ্রামে ফাইভস্টার নামে একটি ইটভাটায় দেদারছে বনের কাঠ পুড়াচ্ছে। ইটভাটার সামনে লোক দেখানো কিছু কয়লা স্তুপ করে রেখেছে। পাশাপাশি শিশু শ্রমিকরা কাজ করছে ওই ভাটায়। ইটভাটার মালিক লিটন মিয়াকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান পরিবেশ অফিসের লোকজনের সাথে আতাত করেই তিনি কাঠ পুড়ছে। শিশু শ্রমিকের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান এলাকার দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা এখানে কাজ করে, এটাও প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, ফাইভ স্টার ইটভার মালিক মো. লিটন মিয়া গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় এমপি হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারীর সাথে সখ্যতা রেখে অবৈধভাবে ইটভাটা চালাতো। এবার বলে বেড়াচ্ছে তিনি বিএনপির রাজনীতি করে। তার প্রভাবে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারে না। তারা জানায়, জনবসতি এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে তিন ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করেন। তার এই ইটভাটার ধোঁয়ায় আশপাশের বাড়ির সাধারণ লোকজন ও শিশুদের শ^াসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়।
এছাড়াও ইট তৈরি জন্য কৃষি জমি থেকে রাতের আঁধারে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ওই লিটন। প্রথমে একটি জমি ক্রয় করে প¦ার্শবতী জমির মালিকরা মাটি দিতে অস্বীকার করলে গভীর করে মাটি কাটে। বৃষ্টিতে জমি ভেঙে পড়লে অনিচ্ছাগতভাবে জমির মাটি বিক্রি করতে হয়। এমন কর্মকা-ে তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ইটভাটা বন্ধের দাবি জানায়।
পাহাড়ী এলাকার সাধারণ লোকজন জানায়, দিনেরাতে টলি গাড়ি দিয়ে বনের কাঠ কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। এমনভাবে চললে বন ধবংস হয়ে যাবে। তারা জানায় স্থানীয় বন খেকোদের সাথে যোগসাজস করে ইটভাটার মালিকরা এ বনের কাঠ সাবার করছে।
কয়লার পরিবর্তে কাঠ পুড়াচ্ছেন ফাইভ স্টার ইট ভাটার মালিক মো. লিটন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানায় প্রশাসনের সাথে আতাত করেই তারা ইটভাটায় কাঠ পুড়াচ্ছি।
কালিহাতী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইএনও) মো. শাহাদত হুসেইন জানান, কোন প্রকারেই বনের কাঠ পুড়িয়ে ইটভাটা চালাতে পারবে না। বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচলক মিয়া মাহমুদুল হক জানায়, পরিবেশ অফিসের কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ রেখে কাঠ পুড়াচ্ছে বিষয়টি ভিত্তিহীন। তবে দ্রুত কাঠ পুড়ানোর বিষয়টি দেখার আম্বাস দেন তিনি।