কালিহাতীতে রেমিটেন্স যোদ্ধার নিজ ভূমিতে ঘর নির্মাণে বাঁধা

Spread the love

মো. শরিফুল ইসলাম :

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে রেমিটেন্স যোদ্ধার নিজ সাবকওলা ৮ শতাংশ ভূমিতে ঘর নির্মাণে বাঁধা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে কালিহাতী পৌরসভার সাতুটিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা সহকারী জজ আদালত টাঙ্গাইলে ভূমির মালিক কালিহাতী পৌরসভার সিলিমপুর গ্রামের মৃত শামছুল আলমের ছেলে রেমিটেন্স যোদ্ধা বাবুল সিদ্দিকী বাদী হয়ে সাতুটিয়া গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম, মৃত চান মামুদের ছেলে মোঃ মোস্তফা ও শহিদুল ইসলামের ভাই আনিছের বিরুদ্ধে উক্ত ভূমিতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিগ্রির প্রার্থনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যাহার নং-৫৭/২০২৩

মামলা সূত্রে জানা যায়, কালিহাতী পৌরসভা অন্তর্গত সাতুটিয়া মৌজার সে.মে. ৪৯ নং খতিয়ানের ৫২২ দাগের ৫২ শতাংশ ভূমিসহ বহু ভূমিতে গহের সেক গং সমান অংশের মালিক থাকে।

ঘরোয়া বন্টনে দাবীর ৫২২ দাগের ভুমিতে গহের সেক স্বত্ববান ও দখলকার থাকে । সেঃ মেঃ ৪৯ নং খতিয়ান এস এ ৫২ ও ৫৫ নং খতিয়ান হয়। ৫৫ নং খতিয়ানের মালিক রহিম উদ্দিন, করিম উদ্দিন, মিলন জান এবং চান মামুদ এর নাম ৩০/৯/৮৪ তারিখে দরখাস্তমুলে অর্ন্তভুক্ত থাকে। চান মামুদ ৫৫ নং খতিয়ানের অন্যান্য জোতদারদের সাথে এজমালিতে স্বত্ববান ও দখলকার থাকিয়া মৃত্যুবরন করায় ২ নং বিবাদী সহ ৪ পুত্র ওয়ারিশ রাখিয়া যান।

ঘরোয়া বন্টনে ২নং বিবাদী মোঃ মোস্তফা দাবীর ০৮ শতাংশের মালিক থাকে এবং স্বত্ববান ও দখলকার থাকিয়া বিগত ১৮/৭/২০২১ তারিখের ৩৯২৬ নং সাবকওলা মুলে বাদী রেমিটেন্স যোদ্ধা বাবুল সিদ্দিকী বরাবর বিক্রি করে চৌহুদ্দিমতে তাকে দখল দেয়। বাদী দাবীর ০৮ শতাংশ ভুমি খরিদের পর ৩৭৯ (IX-1)২১-২২ নং খারিজ করে এবং ডিসিআর প্রাপ্ত হয় এবং সরকারী খাজনাদি প্রদানে স্বত্ববান ও দখলকার আছে।

এ বিষয়ে রেমিটেন্স যোদ্ধা বাবুল সিদ্দিকী জানান, ৮ শতাংশ ভূমি ক্রয়ের পর সেখানে ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নেই। যা কালিহাতী পৌরসভা থেকে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর প্ল্যান পাস হয়েছে। সে মতে আমার ক্রয়কৃত ভূমিতে আধাপাকা বাড়ি করার জন্য যাবতীয় মালামাল আনতে থাকি।

পরে মিস্ত্রি এনে কাজ শুরু করলে চলতি বছরের গত ১২ মার্চ বিবাদীগণ এসে আমার সকল কাজে বাঁধার সৃষ্টি করে এবং কাজ করলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে কয়েকদিন পর হুমকিকে ভয় না পেয়ে পুনরায় ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে শহিদুল ইসলাম ও আনিছ তাদের লোকজন নিয়ে এসে ঘরের যাবতীয় সরঞ্জাম ভেঙ্গে ফেলে দেয় এবং কিছু মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

বাবুল সিদ্দিকী আরও জানান, আমার দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অনেক কষ্টের উপার্জিত টাকা দিয়ে ওই ৮ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেছিলাম। তাঁরা আমার ক্রয়কৃত ভূমি তাঁদের দাবি করে বার বার আমার স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছে। তাদের পক্ষে কোন প্রকার কাগজপত্র নেই। আমার নামে খারিজ হয়েছে এবংকি আমি উক্ত ভূমির খাজনা অনলাইনে পরিশোধ করেছি।

অযথা আমাকে তাঁরা তাঁদের আত্মীয়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিজীবীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই বছর ধরে হয়রানি করে আমার ঘর নির্মাণে বাঁধা ও আমার অর্থ অপচয় করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমার ভূমিতে গিয়ে যেন আমি স্থাপনা নির্মাণ করতে পারি ও হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বিবাদী আনিছ জানান, পৈতৃক সূত্রে ওই ভূমি মালিক আমি। জালিয়াতি করে আমার জমিটি মোস্তফা বাবুল সিদ্দিকীর নিকট বিক্রি করেছে। যে কারণে বাবুল সিদ্দিকীকে আমি স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছি।

যুগধারা ডট টিভি/অন্তু