গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নেশা দ্রব্য খাওয়ায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ৪ গ্রামে সংঘবদ্ধ চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এসব চুরির ঘটনা ঘটে। বিষয়গুলো সর্বসাধারণের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। রাত জেগে এলাকায় পাহারা বসানোর চেস্টা চলছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগদা শিমলা ইউনিয়নের খরুরিয়া গ্রামের মৃত আ: মান্নানের ছেলে ও সাজানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কেরানী আকবর হোসেনের বাড়িতে নেশা দ্রব্য খাইয়ে দরজা ভেঙে নিজের জমানো ৩ লাখ টাকা, স্কুলের পরীক্ষার্থীদের ফরম পুরণের ১৫ হাজার টাকাসহ স্বর্ণালংকার চুরি করে।
একই গ্রামের আ. খালেকের পুত্র আফজালের বাড়িতে নেশাদ্রব্য খাইয়ে দরজা ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি করে। আব্দুস সামাদ বাঙালির পুত্র রমজান আলীর মুদির দোকানে তালা ভেঙে ঢোকার সময় দেখে ফেললে তাৎক্ষণিক চোর পালিয়ে যায়।
খামার শিমলা গ্রামের মৃত হজরত আলীর পুত্র নুরুল ইসলাম নুরুর ব্যাটারী চালিত অটো ভ্যান গাড়ি শিকল কেটে চুরি করে নিয়ে যায়।
একই গ্রামের মৃত মোস্তফার মেয়ে কামরুন্নাহার মিতুর বাড়িতেও রাতে খাবারে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে রাখে। কিন্তু বাড়ির কেউ রাতের খাবার খায়নি। সকালে ঐ খাবার খেয়ে বাড়িতে থাকা ৪ সদস্য অসুস্থ হয়ে পরলে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। তাদের ২ জনের অবস্থা এখনো আশংকাজনক।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর রাতে সাত্তার কান্দি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মফিজ উদ্দিনের মটরের ট্রান্সমিটার চুরি হয়।
ওই রাতে বড়ামা গ্রামের ছাদরুল উল্লাহ’র পুত্র ও গোপালপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি অটল শরিয়ত উল্লাহ’র খালি বাড়িতে তালাবদ্ধ ঘরে গ্রিল ভেঙে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে রেখে যায়।
এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার এস আই এমারত হোসেন সরেজমিনে তদন্ত করে বলেন ‘তদন্ত স্যারের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’