যুগধারা ডেস্ক :
স্বামী ঋষি কাপুরের মৃত্যুর পর থেকে একাই থাকেন বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেত্রী নীতু কাপুর। ছেলে রণবীর কাপুর তার স্ত্রী আলিয়াকে নিয়ে আলাদা থাকেন। আর মেয়ে ঋদ্ধিমা বিয়ের পর থেকেই থাকেন দিল্লিতে। সন্তানদের সঙ্গে না থেকে একা কেন থাকেন? সে বিষয়েই মুখ খুলেছেন নীতু কাপুর।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে নীতু কাপুর বলেন, ‘আমি চাই ওরা ওদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকুক। করোনা মহামারির সময় লকডাউনের কারণে প্রায় এক বছর ঋদ্ধিমা আমার সঙ্গে ছিল। ও ওর স্বামী, সন্তানদের কাছে যেতে পারছে না দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়তাম আমি। অস্থির লাগতো খুব। অথচ ঋদ্ধিমা কিন্তু দিব্যি সামলে নিয়েছিল। তাই শেষপর্যন্ত একপ্রকার জোর করে ঠেলেই ওকে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আমার একা থাকতে কোনো অসুবিধা হয় না। গোপনীয়তা ও একাকীত্বই আমার প্রিয়। আমি এই জীবনযাত্রায় হয়ে গেছি।
সাক্ষাৎকারে রণবীর, ঋদ্ধিমার পড়াশোনার সময়কালীন পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করেন নীতু। বলেন, ‘আমার মনে আছে যখন ঋদ্ধিমা লন্ডনে পড়াশোনা করতে গেল তখন আমি কয়েকদিন ধরে কেঁদেছি। কিন্তু বছর খানেক পরে রণবীর যখন বাইরে গেল তখন অবশ্য এমনটা হয়নি। রণবীর আমাকে বলেছিল, মা তুমি আমাকে ভালোবাসো না। আসলে তা নয়। তখন আমি ওই জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম।
একটা সন্তানের থেকে দূরে থাকতে থাকতে অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। তাই রণবীর যখন গেল আমি আগে থেকেই নিজেকে সামলে নিয়েছিলাম। আমার মনে হয় যখন ওরা বিদেশে ছিল, সেই সময়গুলো আমাকে আরও শক্ত করেছে। আমি অনুভব করেছি যে, আমি একা ঠিক আছি।
নীতু আরও বলেন, ‘এছাড়াও, ওদেরকে ওদের মতো করেই জীবনে চলতে হবে। ওরা আমার কাছে এলে আমি খুশি হই, কিন্তু আমি চাই ওরা ওদের বাড়িতে ফিরে যাক এবং সেটেল হোক। আমি শুধু একটা কথা বলি, প্রতিদিন আমার সঙ্গে দেখা করতে হবে না, কিন্তু নিয়মিত যোগাযোগটা রাখো। আমি চাই না ওরা সব সময় আমার আশেপাশে ঘুরুক, আমি সেই অর্থে খুব স্বাধীনচেতা।
গতকাল শনিবার (৮ জুলাই) ছিল নীতু কাপুরের ৬৫তম জন্মদিন। মায়ের জন্মদিন উদযাপন করতে তাকে নিয়ে ইতালি গেছেন রণবীর-ঋদ্ধিমা। শনিবার সন্ধ্যায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে ইটালিতে জন্মদিন পালন করেন নীতু কাপুর।