সখীপুর প্রতিনিধি :
শরীয়ত মোতাবেক মহিলা, পুরুষের লাশকে সালাম দেওয়ার আইন কোথায় বলা আছে? আইনের সম্মতি না থাকলে আপনি (ইউএনও ফারজানা আলম) যেতে পারেনা। জানাযার পরে পুলিশের সালাম দেওয়া আইনসিদ্ধ হবে কিনা সেটাও জানতে হবে। সালাম দেওয়ার কথা হচ্ছে জানাযার আগে, কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ খান (নয়া মুন্সির) জানাযার নামাজের পরে সালাম দেওয়া হয়।
শনিবার ( ২০ মে) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার পরিষদ হলরুমে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আব্দুল সবুর সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীরপ্রতিক, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধের সাবেক কমান্ডার এস এম আমজাদ হোসেন, এম ও গণি, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম সরকার, সদস্য শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, বোয়ালী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সাঈদ আজাদ, সখীপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক হাবিবুন্নবী সোহেল, আসিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ এপ্রিল শনিবার বেলা ২টায়
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ খান (নয়া মুন্সির) মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নারী ইউএনও এলে তিনি তাকে বাধা দেন। এ সময় তিনি একজন পুরুষ কর্মকর্তাকে দিয়ে গার্ড অব অনার দিতে বলেন। এরপর ইউএনও চলে গেলে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে অবশ্য কাদের সিদ্দিকী চলে যাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সেই নারী ইউএনওর নেতৃত্বেই রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের পর দাফন অনুষ্ঠিত হয়।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু