জাহাঙ্গীর আলম ঃ টাঙ্গাইলের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান বাংলাদেশে কর্মরত অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ সমমর্যাদার বিচারকদের মধ্যে ‘প্রধান বিচারপতি পদক-২০২২’ পেয়েছেন। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে তিনি ওই পদক নেন। সাউদ হাসান গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা ও আনোয়ারা বেগমের কনিষ্ঠ সন্তান। তিনি গোপালগঞ্জের আড়পাড়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) এলএলএম (প্রথম শ্রেণি) ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি আইসিআরসি স্কলারশীপ প্রাপ্ত হন এবং ভারতের নালসার ইউনিভার্সিটি অব ল’ থেকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে পিজিডি-তে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি আইন, বিচার, মানবধিকার ও আইন গবেষণার উপর দেশে ও বিদেশে প্রায় ৪৮টি প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান আইন বিষয়ে ৩টি পেশাগত বইয়ের রচিয়তা এবং দেশি-বিদেশি আইনি জার্নালে এ যাবৎ তার ৬টি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ঢাকা জজ কোর্ট এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তালিকাভূক্ত আইজীবী হিসেবে প্রাকটিস ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন।
তিনি তৃতীয় বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসে ২০০৮সালের ২২ মে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে রাজবাড়ি জেলায় যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকার সিনিয়র সহকারী জজ, মানিকগঞ্জের জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার, ঢাকার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি টাঙ্গাইলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করার পরে বিচারপ্রার্থী জনগণের বিচারিক সেবার মান উন্নয়ন, আদালতের সার্বিক পরিবেশের উন্নয়ন সাধন, স্বল্প সময়ে অধিক সংখ্যক মামলা নিস্পত্তি, বৃক্ষরোপনসহ জেলার সামগ্রিক বিচার ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছেন। তিনি বিবাহিত এবং এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। সাউদ হাসানের স্ত্রী মনিকা খান বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের একজন সদস্য এবং বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল জেলার লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) হিসেবে কর্মরত।