জাহাঙ্গীর আলম:
টাঙ্গাইল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদ। ফোকাল পারসন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ সরফুদ্দিন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আইরনি আক্তার, সিভিল সার্জন মোঃ মিনহাজ উদ্দিন মিয়া, বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত, বিজ্ঞ পিপি টাঙ্গাইল, জেলা এডভোকেট বার সমিতি টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক, টাঙ্গাইলের জেল সুপার, বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার বক্তব্যে সাক্ষী ও আসামীর প্রতি ইস্যুকৃত সমন, গ্রেফতারী পরোয়ানা এবং ক্রোকী পরোয়ানা দ্রুত তামিলের জন্য সকল অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। প্রতিদিন আদালতে আনীত আসামীদের দুপুরে খাবার সরবরাহ করার জন্য জেল সুপারকে জেল কোড অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণরে জন্য নির্দেশ দেন। ফৌজদারী মামলা দ্রুত ও কার্যকর তদন্ত নিশ্চিত করে তিনি যথাসময়ে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা, লাশের ময়নাতদন্ত দ্রুততম সময়ে মধ্যে সম্পন্ন করার পরার্মশ দেন। ছুটির দিনে নিয়মিত সাধারন দিনের ন্যায় বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিসহ টাঙ্গাইলের ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থাকে আরো গতিশীল ও ত্বরান্বিত করণে সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন। পুলিশ সুপার এর প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সরফুদ্দিন আদালত কর্তৃক ইস্যুকৃত সাক্ষীর প্রতি সমন, গ্রেফতারী পরোয়ানা এবং ক্রোকী পরোয়ানাসহ তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত তামিল ও প্রেরন সহ সকল বিষয়ে সহযোগীতার আশ্বাস দেন। কনফারেন্সে প্রধান অতিথি বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিকরন ও ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থা গতিশীল করার লক্ষ্যে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট, বিদ্যুৎ আদালত, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও পারিবারিক আদালতের বিজ্ঞ বিচারকগণ, পুলিশ সুপার পিবিআিই, সিআইডি এর প্রতিনিধি, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার প্রতিনিধি, তত্বাবধায়ক ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এর প্রতিনিধি, কোম্পানি কমান্ডার, সিপিসি-৩, র্যাব-১৪ এর কমান্ডার, সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ, কোর্ট ইন্সপেক্টর, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, ইন্সপেক্টর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ডিডি সমাজসেবা অধিদপ্তর, সিএসআই, জিআরও প্রমুখ।