স্টাফ রিপোর্টারঃ
জুলাইয়ের অভ্যুস্থানের বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ যেসব কারণে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বা নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। এই বিষয়টিকে অবশ্যই অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় আনতে হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য জনগনের হাতের নাগালে রাখতে হবেই।
নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আরও যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে তার মধ্যে রয়েছে আমদানী শুল্ক-কর হ্রাস করে যোগ্য পরিমাণে কমানো, হাটবাজারে, পথেঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, পণ্য ক্রয় ও বিক্রয়ে রসিদ ও প্রতিনিয়ত দরপত্রের তালিকা ব্যবহার বাধ্যতা মূলক করাসহ নিত্যপণ্যের উৎপাদন-সরবরাহ-আমদানি-মজুত-বাজারজাতকরণ। নিয়মিত বাজার তদারক করতে প্রতিটি জেলায় রয়েছে বিশেষ টাস্কফোর্স করেছে সরকার তবে তা প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি আরও জোরদার করতে হবে।
এতো স্বল্প তদারকীতে বাজার ব্যবস্থা সহজতর করা যাবেনা। বর্তমান সময়ে কিছুকাল সার্বক্ষণিক তদারকীতে থাকতে হবে! দেশে টিসিবি ও ওএমএসের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির যে ব্যবস্থা আছে, এসব সহজলভ্য কার্যক্রম নাগরিকদের দোরগোঁড়ায় পৌঁছাতে দূর্নীতি গুলো দূর করতে হবে এবং কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে।
তবে সাবেক স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন সময়ে সম্ভবত ভারতের একটি অদৃশ্য হুকুমে বাংলাদেশটাকে বিপথগামী ও ধ্বংস করতে অযৌক্তিক ভাবে টাকা ছাঁপিয়েছে! যাঁর ফলে মুদ্রাস্ফীতিতে এক শ্রেণীর অসাধু-নীতি বর্হিভূত ভাবে মানুষ কোটিপতি বনে বা অর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছে। যাঁ মানব-মানবতার জন্য তথা রাষ্ট্রের কোন কিছুর জন্য সঠিক পথ বা কল্যাল কর নয়! এর ফলেই মুদ্রাস্ফীতির কারণে মূল্যস্ফীতিতে সাধারণ নিরিহ ও সাধু মানুষেরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন!
তাছাড়াও বাংলাদেশের অণ্যে নিত্যপন্য সমূহ যথাযথ ভাবে আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ঠ রয়েছে বা বেশী থাকা স্বত্ত্বেও তা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। এর সমাধানে বাংলাদেশের উৎপাদিত পণ্য যোগান ও মজুত সম্পর্কে যথাযথ ভাবে সপ্তাহ বা ১৫ দিন অর্ন্তর অর্ন্তর মিডিয়ায় (পত্রিকা-টেলিভিশন) প্রকাশ করলে জনসাধারণ এই বিষয়ে সহজে জানতে পারবে এবং সচেতন হতে পারবে, যার ফলে অসাধু ব্যবসায়ি সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যাবে বলে ধারণা পাওয়া যায়। অনেক সময়ে মাঝারি ব্যবসায়িরাও দেশে অভ্যন্তরীণ অবস্থার প্রেক্ষিতে সুযোগ বুঝে, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ,আলু, আদা, ডিম, মাংস, কাঁচামরিচ, মুরগীসহ ইত্যাদি পণ্যের সরবরাহে সাধারণ জনগনের সাথে প্রতারণা করে থাকে!
বাংলাদেশের কতিপয় আমদানী-রপ্তানী কারকসহ, দেশের অভ্যন্তরে বৃহৎ ব্যবসায়ী ও আড়ৎদার গোষ্ঠীর নির্দেশে পণ্যের মূল্য নির্ধারিত হয়! সেই হাত গুলো খুঁজে বের করা সরকারের পক্ষে অবশ্যই বের করা সম্ভব, যদি তাঁরা সরকার ও জনগনের সাথে প্রতারণা করে রাষ্ট্রর ক্ষতি সাধন করে নিজেরা লাভবান হতে চায়। তবে তাঁদেরকে কয়েক ঘন্টার মধ্যে চিহিৃত করা সম্ভবও! এদেরকে চিহিৃত করে লুঘু শাস্তি শুধু নয়, ভয়ঙ্কর শাস্তির ব্যবস্থা তথা অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্য সম্পন্ন করে মৃত্যুদন্ডের শাস্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
দেশের কৃষি ও বানিজ্য মন্ত্রনালয়সহ সম্পৃক্ত মন্ত্রনালয়-বিভাগ অধিদপ্তর গুলোর বাজার নিয়ন্ত্রনে সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে এবং কৃষক ও ক্রেতার-বিক্রেতার সমন্বয়ের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য জনসাধারনের হাতে পৌঁছানো সম্ভব বলা যায়।
বিবিসি বাংলার এক অনুসন্ধান বলা হয়েছে, বেশি পরিমাণে পণ্য আমদানি করা প্রতিষ্ঠানগুলো একজোট হয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে মাঝারি পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা নিজের ইচ্ছেমতো পণ্য কিনতে পারেন না।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর বলেন, আড়ৎদারের মূল্যে কারসাজি বা নৈরাজ্য বন্ধ করাসহ জনস্বার্থে তাঁদের অভিযান চলমান থাকবে।