টাঙ্গাইলে লিগ্যাল এইড কার্যক্রমে আইনী সহায়তা পাচ্ছে অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী

Spread the love

জাহাঙ্গীর আলম :

টাঙ্গাইল জেলা লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের গতিশীল তৎপরতায় আইনী সহায়তা পাচ্ছে সমাজের নিরীহ, দরিদ্র, অসহায় ও নিন্ম আয়ের মানুষ। যে সকল নিন্ম আয়ের মানুষ আইনজীবি নিয়োগ করে মামলা পরিচালনা করতে সক্ষম নন সেসব অসহায় জনগোষ্ঠীকে আইনী সেবা দিতে টাঙ্গাইল জেলা লিগ্যাল এইড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সমাজের গরীব-দু:খী, অসহায় ও সহায় সম্বলহীন মানুষের অধিকার রক্ষা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০০ সালে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ সরকারি আইনী সহায়তা কায়ক্রমের সূচনা করে।

এ কার্যক্রমের আওতায় দেওয়ানী, ফৌজদারী ও পারিবারিক মামলা বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়ে থাকে। লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের আওতায় ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রি-কেইস দেওয়ানী ১৫টি, ফৌজদারী ৮টি, পারিবারিক ১০৪টি এবং পোস্ট কেইস দেওয়ানী ১টি ও ফৌজদারী-২টি মামলার সফলভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়।

বিকল্প বিরোধ গত বছর নিষ্পত্তি/এডিআর প্রি-কেইসের মাধ্যমে ১১টি পারিবারিক, ১৫টি ফৌজদারী ও ৪টি দেওয়ানী মামলা প্রত্যাহার করা হয়। ২০২২ সালে সর্বমোট ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার ৩০০ টাকা এবং জানুয়ারি ২০২৩ থেকে মার্চ ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত ৩৩ লাখ ৭২ হাজার ২০০ টাকা আদায় করে বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে প্রদান করা হয়। এছাড়া ৭২৮ জন নারী পুরুষকে আইনগত সহায়তা ও ৬২২ জন নারী-পুরুষকে আইনী পরামর্শ প্রদান করা হয়।

উপকারভোগী মোসা: যুথীমনি জানান, তিনি একজন অসহায় দরিদ্র মহিলা। অর্থ ব্যয় করে মামলা পরিচালনা করার তার সামর্থ নেই। তাই লিগ্যাল এইডে এসে পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন করেন। এতে তিনি আশানুরুপ সুফল পেয়েছেন।

প্যানেল আইনজীবি এডভোকেট এম. এ করিম মিঞা জানান, লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে তারা অসহায় ও দরিদ্রদের আইনী সহায়তা দিয়ে থাকেন। যারা অর্থ খরচ করে মামলা পরিচালনা করতে পারেন না সীমিত সম্মানীর মাধ্যমে সরকারি সহায়তায় তাদের মামলাগুলোর বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়।

টাঙ্গাইল’র জেলা লিগ্যাল এইডি (সিনিয়র সহকারি জজ) জনাব মনিকা খান জানান, লিগ্যাল এইড কার্যক্রম বর্তমান সরকারের একটি মহতি উদ্যোগ।

এ কার্যক্রমকে সফল করার জন্য সকল পর্যায়ের ব্যাক্তিবর্গের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করে তিনি আইনী পরামর্শ, আইনগত সহায়তা এবং বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে সকলের সৌহার্দমূলক ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।

তিনি জানান, এ কার্যক্রম পরিচালনায় ৩৩ জন প্যানেল বিজ্ঞ আইনজীবি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা লিগ্যাল এইড কার্যক্রমে অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মামলা পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

যুগধারা ডট টিভি/অন্তু