টাঙ্গাইলে শিশুকে শ্লীলতহানির ঘটনায় মামলার পর নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার :

দিন যতই যাচ্ছে ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছে টাঙ্গাইলে নয় বছরের এক শিশুকে শ্লীলতাহানির ঘটনার অভিযুক্তরা। আদালতে মামলার পর শিশুর পরিবারকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওই শিশুর পরিবার।

এ দিকে মামলাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে প্রভাবশালী অভিযুক্ত আসামীরা। আসামীরা ইতিমধ্যে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে লবিং শুরু করেছেন। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলন ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞান দিয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে।

এ ঘটনায় ওই শিশুর রিকশা চালক বাবা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে টাঙ্গাইল নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সদর উপজেলার বেলটিয়াবাড়ী গ্রামের মৃত মন্টু মিয়ার ছেলে মো. লিটন (৫৮), লিটনের ছেলে মো. শিমুল (২০), মৃত শামছুল হুদার ছেলে মো. শাহিনশাহ (৫০) ও মো. বায়েজিতকে (৪২) বিবাদি করা হয়েছে।

এ ছাড়াও ওই শিশুর বাবা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানা, জাতীয় আইনগত প্রদান সংস্থা (লিগ্যাল এইড) ও র‌্যাব কমান্ডার -১৪ এর ৩ নং কোম্পানী কমান্ডারসহ বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারপরও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিযুক্ত আসামীরা। এতে নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছে ওই শিশুর পরিবার।

মামলা ও ওই শিশুর বাবা জানায়, ওই শিশুর বাবা মা বেলটিয়াবাড়ী গ্রামে বাসা ভাড়া থাকেন। শিশু বাবা রিকশা চালক ও মা অন্যের বাসায় আয়ার কাজ করেন। গত ১৫ মার্চ বাবা মা কাজে গেলে ওই শিশু পাশ্ববর্তী মুদি দোকানে সদাই কিনতে যায়। এই সময় ওই শিশুকে লিটন ডেকে নিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হলে শিশুর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় লিটন। এক পর্যায়ে লিটন ম্যাচ লাইট দিয়ে শিশু গাল পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।

পরে শিশুটি দৌড়ে গিয়ে তার মাকে বিস্তারিত বলে। ওই শিশুর মা স্থানীয় মাতাব্বরদের বিষয়টি অবগত করলে সামাজিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করার আশ্বাস দিলেও তা হয়নি।

পরে ১৮ মার্চ শিশুটির বাবা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর আসামীরা অভিযোগ তুলে নিতে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।

শিশুর বাবা বলেন, আমাদের পরিস্থিতি ভয়াবহ। মামলাটি তুলে নিতে আমাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে আসামীরা। আমার মেয়েকে যারা ক্ষতি করার চেষ্টা করছে আমি তাদের শাস্তি দাবি করছি।

যুগধারা ডট টিভি/অন্তু