স্টাফ রিপোর্টার:
টাঙ্গাইলে কোট চত্ত্বরে হামলার শিকার হয়েছেন ব্যাবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা (লাবু)। বুধবার ৩০ অক্টোবর টাঙ্গাইল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোট প্রাঙ্গনে সকালে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে টাঙ্গাইল ব্যাবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা (লাবু)। আবুল কালাম মোস্তফা (লাবু) টাঙ্গাইল সদরের পূর্ব আদালতপাড়ার আবদুস সালাম ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি লিখিত অভিযোগে জানান, ৩০ অক্টোবর বিজ্ঞ জুডি: ম্যাজি: ৬ নং আদালত, টাঙ্গাইলে সি.আর ১৯৬/২০২২ নং মামলার হাজিরা দেওয়ার জন্য পূর্ব আদালত পাড়া বাসা হতে সকাল ১০.২০ টায় তার মালিকানাধীন MTSUBISHI PAJERO গাড়ীতে ড্রাইভারকে সঙ্গে নিয়া সকাল ১০.৪০ টায় টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ চীফ জুডি: ম্যাজি: ভবনের উত্তর পাশের মূল গেটের সম্মুখে পৌছা মাত্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামী শরীফ উদ্দিন সেন্টুসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন আসামী ৪ টি মটরসাইকেল নিয়ে তার গাড়ীর সম্মুখে এসে চারিদিক থেকে গাড়ীটি ঘিরিয়া ধরে। একপর্যায়ে আসামী শরীফ উদ্দিন সেন্টু তাকে গাড়ী হইতে নামতে বলে সে আসামী শরীফ উদ্দিন সেন্টুর কথা বিশ্বাস করে গাড়ী হইতে নামলে অজ্ঞাতনামা সকল আসামীগন তাকে চারিদিক থেকে ঘিরিয়া ধরে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। একপর্যায়ে আসামী শরিফ উদ্দিন সেন্টু তাকে জানে মেরে ফেলার জন্য অজ্ঞাতনামা আসামীদের হুকুম দেয় আসামী শরিফ উদ্দিন সেন্টুর হুকুমে সকল অজ্ঞাতনামা আসামীগন তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারীভাবে কিল ঘুষি লাখি মারিতে থাকে। একপর্যায়ে আসামী শরীফ উদ্দিন সেন্টু তাহার হাতে থাকা ইট দ্বারা তাকে হত্যার অসৎ উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া বারি মারিলে উক্ত বারি তার ডান চোখে লাগে এবং গুরুত্বর আহত হন। যার ফলে তার ডান চোখের দৃষ্টি শক্তি প্রায় নষ্ট হয়ে যায়। তাকে বাচানোর জন্য তার ড্রাইভার মো: ফজলু মিয়া আগাইয়া আসলে অজ্ঞাতনামা আসামীগন তার ড্রাইভারকে চড় থাপ্পর মারতে থাকে। একপর্যায়ে সে সহ তার ড্রাইভার আসামীদের কবল হইতে বাচার জন্য ডাকচিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে শরীফ উদ্দিন সেন্টু সহ অজ্ঞাতনামা আসামীগন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আসামীগন ঘটনান্থল হতে চলে যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফেলে যায়। তার অবস্থা আশংকার জনক হলে তার ড্রাইভার মো: ফজলু মিয়া তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল টাঙ্গাইলে নিয়া যায়। সে টাঙ্গাইলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে, অতপর ডাক্তার বি কে সাহার নিকট তার চোখ দেখালে তার চোখের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে বাংলাদেশ আই হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তার চোখের অবস্থা খুবই গুরুত্বর হওয়ায় তার স্ত্রী নাজিয়া ইয়াসমিন এর মাধ্যমে এজাহার দায়ের করে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।