মোঃ তুহিন মিয়া, টাঙ্গাইলঃ অনিয়ম যখন নিয়মে পরিনত হয়, তখন সে সমাজের অবক্ষয় সু-নিশ্চিত। আফ্রিকার একটি নাম করা বিশ^বিদ্যালয় ইউনিভর্সিটি অব সাউথ আফ্রিকার প্রবেশ দ্বারে লিখা রয়েছে” কোন জাতিকে ধ্বংস করার জন্য পারমানবিক হামলা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দরকার নেই। বরং সেই জাতির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় প্রতারণার সুযোগ দিলেই হবে। কারণ এভাবে পরিক্ষা দিয়ে তৈরি হওয়া ডাক্তারদের হাতে রোগীর মৃত্যু হবে। ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা নির্মিত দালান-কোঠা, ইমারত ধ্বংস হবে এবং অর্থনীতিবিদের দ্বারা দেশের আর্থিক খাত দেউলিয়া হবে। এছাড়া বিচারকদের হাতে বিচার ব্যবস্থার কবর রচনা হবে। সুতরাং শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার মানে হলো একটি জাতির অবলুপ্তি।”
টাঙ্গাইল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে, মানা হচ্ছে না নীতিমালা প্রতিষ্ঠানে সময় দিতে নারাজ স্কুল-কলেজের শিক্ষকেরা।
জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার পাশা-পাশি কোচিং, এনজিও, সাংবাদিকতা, প্রেসক্লাব বা অন্যান্য অন্যের প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। এসব কাজে শুধু জড়িত থেকেই দ্বায়বদ্ধতা এড়াতে পারেনি এসকল শিক্ষকেরা। সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে তাদের যথাযথ সময় ব্যায় করতে হচ্ছে! যার ফল স্বরুপ তাদেরকে বাদ্ধ হয়ে স্কুলের ক্লাসে যথাযথ সময় দিতে পারছেনা।
বিষয়টিকে আসলে অন্তবর্তীকালিন সরকার ও প্রশাসনের উর্ধ্বতনরা গুরুত্বের সহিদ বিবেচনায় না আনলেও, বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্বের বিষয়।
সম্প্রতি সময়ে টাঙ্গাইলের জেলার একটি সংবাদিক ফোরামের শিক্ষকদের একটি অংশ তার একাধিক স্কুল ও কলেজে শিক্ষদের নিয়ে বনভোজনে কক্সবাজারে গিয়ে ছিলেন। এখানে সংগঠনটির সভাপতি যিনি, উনিও একজন কলেজের শিক্ষক!
যদিও তার তারা ছুটি নিয়েছিলেন, তবে কিন্তু, ঐ সাংবাদিক সংগঠনের কারনেই তাদের ছুটি নিয়ে মোজ-মাস্তি করে এলেন। তাদের নিজেস্ব ফেইসবুকেই এই বনভোজনের যথেষ্ঠ প্রমানাদী রয়েছে।
সম্প্রতি সময়ে টাঙ্গাইল ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রী কলেজের শিক্ষকদের প্রতারণায় ২২ শিক্ষার্থী চলতি বৎসরে এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ করতে পারেনি। বাংলাদেশের বর্তমানে বেশ আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সময়ে! শিক্ষকেরা তাদের প্রকৃত নীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছেন।
ঐ উপজেলাটি সহ টাঙ্গাইল জেলার একাধিক উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যাতি রেখে তারা ক্লাস সময়ে নিউজ (সংবাদ সংগ্রহে) করার জন্য স্কুল-কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে বাহিরে চলে যাচ্ছেন অহরহ। যা প্রতিষ্ঠানের আচরণ-বিধির সাথে সংগতি পূর্ণ। যা কাজে অবহেলা বুঝায়! বিশেষ জনেরা বলেন, প্রধান শিক্ষকদের নিজেদের ত্রুটি-দূর্নীতি ঢেকে রাখার জন্য আসকারা দেন এসব সাংবাদিক শিক্ষকদের যা বলার অপেক্ষা রাখেনা!
যার ফলে প্রতিষ্ঠানের উপর ক্ষুদ্ধ হয়েও কোন ফল পাচ্ছে না এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাকেরা!
সমাজের বিশিষ্টজন ও সুশীল সমাজের জনসাধারণ ভাবছেন ভিন্ন কথা, বর্তমানের অনৈতিক শিক্ষকরা, শিক্ষাকে ব্যবসায় বানিয়ে নিয়েছেন! যেন এদের উদ্দেশ্য শিক্ষা দেওয়া নয়, বরং অর্থ উপার্জন! স্কুল-কলেজে ও মাদ্রাসার শিক্ষকেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সময় না দিয়ে, একাধিক নিয়োগ পত্র নিয়ে বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকছেন। শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে একক ভবে মুখ ফিরিয়ে আনলেই হবেনা, শিক্ষকদেরকেও বাইরে কাজে প্রতি বেশী গুরুত্ব না দিয়ে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি মনোযোগী হতে হবে।
এই বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা বলেন, শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা বা বিভিন্ন পেশায় শিক্ষকেরা জড়িত হওয়ার বিষয়ে ব্যাপারে সরকারি ভাবে কোন বিশেষ নির্দেশনা নাই। তবে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান অদূর ভবিষ্যতে এরকম কোন নিদের্শনার ব্যাপারে তিনি সঠিক ভাবে উত্তর দিতে পারেনি। #