বিনোদন ডেস্ক :
মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে জনপ্রিয় ডিজনি তারকা ও পপ গায়িকা কোকো লি। এরপরই নিলেন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কোমা থেকে আর ফেরেননি, পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে।
বুধবার (৫ জুলাই) ৪৮ বছর বয়সে মারা যান এ গায়িকা। মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন লির বোন ক্যারল ও ন্যান্সি।খবর বিবিসির।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানায়, হংকংয়ে জন্মগ্রহণ করেন লি, শৈশবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। বেড়ে ওঠেন সান ফ্রান্সিসকোতে। মাধ্যমিক পড়াশোনার পর তিনি ছুটিতে তার জন্ম শহরে ফিরে যান। সেখানে একটি গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ওই প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরষ্কার জিতেছিলেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে তার পপ সংগীতে পথচলা শুরু হয়।
লিকে নিয়ে তার বোন ক্যারল ও ন্যান্সি লেখেন, গত ২৯ বছরে তিনি অগণিত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও প্রশংসা পেয়েছেন। দুর্দান্ত লাইভ পারফরম্যান্সের জন্য শ্রোতাদের ওপর একটি বিস্ময়কর ছাপ রেখে গেছেন। এই বছরটি লির গাওয়া ক্যারিয়ারের ৩০তম বছর হিসেবে চিহ্নিত হবে।
তারা আরও লেখেন, সংগীতে চীনা গায়কদের জন্য একটি নতুন বিশ্ব উন্মোচন করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন কোকো। তিনি চীনাদের জন্য উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিলেন। যদিও কোকো পৃথিবীতে বেশি দিন ছিলেন না, তবে তার আলোররশ্মি চিরকাল থাকবে। আমরা তার জন্য গর্বিত।
বিবিসি জানায়, ১৯৯৪ সালে দুটি ম্যান্ডারিন অ্যালবামের মাধ্যমে লি ম্যান্ডোপপ সংগীতে প্রবেশ করেন। পরের বছরের মধ্যে তিনি একটি ইংরেজি ভাষার অ্যালবাম বের করেন। পাশাপাশি তৃতীয় ম্যান্ডারিন অ্যালবামও প্রকাশ করেন। তিনি মুলান থিম সং ‘রিফ্লেকশন’ ম্যান্ডারিন ভাষায়ও গেয়েছেন।
তার গান ‘বিফোর আই ফল ইন লাভ’ ১৯৯৯ সালে হলিউড ফিল্ম রানঅ্যাওয়ে ব্রাইড এ যখন গাওয়া হয় যেখানে কণ্ঠ মেলান বিখ্যাত অভিনয় শিল্পী জুলিয়া রবার্টস ও রিচার্ড গের।
১৯৯৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় মাইকেল জ্যাকসন অ্যান্ড ফ্রেন্ডস বেনিফিট কনসার্টে তিনি পারফর্ম করেন। তিনি টিভি ট্যালেন্ট শো ‘চাইনিজ আইডল’অনুষ্ঠানের বিচারকও ছিলেন।
চলতি বছরের ভালোবাসা দিবসে লির একক গান ‘ট্র্যাজিক’ মুক্তি পায়। গত মার্চে সামাজিকমাধ্যমে তিনি জানিয়েছিলেন, গত বছরের শেষের দিকে নাচের অনুশীলনের সময় পায়ের পুরোনো ব্যথায় ফের আঘাত পান। যার কারণে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল তাকে।
ব্যক্তিগত জীবনে, ২০১১ সালে হংকংভিত্তিক সাপ্লাই চেইন জায়ান্ট লি অ্যান্ড ফাং-এর প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রুস রকোভিটজকে বিয়ে করেন লি। তিন বছর আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু লি কখনো এই বিষয়ে মুখ খোলেননি।