ধূমপায়ীদের জন্য জরুরি তিন খাবার

Spread the love

যুগধারা ডেস্ক :

ধূমপান ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ধূমপানের ফলে ফুসফুসে ক্যানসার হয়ে প্রতি বছরই অনেক মানুষ মারা যায়। আর এই ফুসফুস রক্ষায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ধূমপান ছেড়ে দেয়া। কিন্তু ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা সহজ ব্যাপার নয়।

যা হোক, আপনি ধূমপায়ী হয়ে থাকলে ফুসফুসের ক্ষতি কমাতে কিছু খাবার আপনাকে সাহায্য করতে পারে। ইউরোপিয়ান রেসপিরেটরি জার্নালে ২০১৮ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণার ফল বলছে, কিছু খাবার ফুসফুসের স্বাস্থ্যোন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।

ওই গবেষণায় গবেষকরা অধূমপায়ী, সাবেক ধূমপায়ী ও বর্তমান ধূমপায়ী- মোট ৬৮০ জন লোক থেকে তাদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতে চান এবং এরপর তাদের ওপর স্পাইরোমেট্রি সম্পাদন করেন। স্পাইরোমেট্রি হচ্ছে, একটি টেস্ট যা শ্বাসগ্রহণ ও শ্বাসত্যাগের ওপর ভিত্তি করে ফুসফুসের কার্যক্রম পরিমাপ করে। তারপর ১০ বছর পর পুনরায় তাদের ফুসফুস কার্যক্রমের টেস্ট করা হয়। গবেষকরা আবিষ্কার করেন যে, প্রাক্তন ধূমপায়ীরা যত বেশি আপেল, কলা ও টমেটো খেয়েছিল, সে সময়ে তাদের ফুসফুস কার্যক্রমের ক্ষতি তত কম হয়েছিল।

গবেষকরা বলেন, ‘আপেল, কলা ও টমেটো খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বয়স্কতা ও ধূমপান হচ্ছে, ফুসফুস কার্যক্রম কমে যাওয়ার জন্য দায়ী সর্বাধিক প্রমাণিত ফ্যাক্টর।’ আপনার ফুসফুস স্বাস্থ্যের জন্য এসব খাবার এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? গবেষকরা ধারণা করেন, এটি সম্ভবত এসব খাবারের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অনুকূল প্রভাবের ফল হতে পারে।

টমেটো খান। টমেটো হচ্ছে লাইকোপিনের সমৃদ্ধ উৎস, এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ফুসফুসে বায়ুপ্রবেশ পথের প্রদাহ হ্রাসে সাহায্য করতে পারে, সম্ভবত ফুসফুস স্বাস্থ্যের উন্নতিসাধন করে।

ফ্ল্যাভানয়েড নামে পরিচিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের অন্য একটি শ্রেণীও ফুসফুস স্বাস্থ্যে ভূমিকা রাখতে পারে। অনেক ফল ও শাকসবজিতে এ উপাদান প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা আপনার শ্বাসক্রিয়া সহজ করে প্রদাহ-বিরোধী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এ থেকে বোঝা যেতে পারে যে, আপেল ও কলার সঙ্গে ফুসফুসের ক্ষতি হ্রাসের সম্পর্কের কারণ কি।

ফুসফুসের স্বাস্থ্য সুরক্ষার সঙ্গে টমেটো, কলা ও আপেল খাওয়ার সম্পর্ক, যারা কখনো ধূমপান করেনি তাদের তুলনায় প্রাক্তন ধূমপায়ীদের মধ্যে অধিক প্রমাণিত। গবেষকরা বলেন, ‘এটি ইঙ্গিত করছে যে, এসব অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ধূমপানের দ্বারা সৃষ্ট ফুসফুস টিস্যুর ক্ষতি উপশম করে ফুসফুস পুনরুদ্ধারে সম্ভাব্য অবদান রাখতে পারে।’

খাবারের সঙ্গে যে ফুসফুস স্বাস্থ্যের সম্পর্ক আছে, তা বিজ্ঞানীরা এর আগেও বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ করেছেন। যেমন একটি গবেষণায় দেখা যায়, যেসব লোকেরা সর্বোচ্চ ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার (যেমন: গাজর, টমেটো, ব্রকোলি, মিষ্টি আলু, প্রভৃতি) বেশি খেয়েছিল তাদের ফুসফুস ক্যানসার বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা কম ছিল এবং এ প্রভাব প্রাক্তন ধূমপায়ীদের মধ্যে আরো বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

যুগধারা ডট টিভি/অন্তু