নাগরপুরে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য মধ্যবিত্তের পকেটে টান

Spread the love

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

নাগরপুর বেশ কিছুদিন হলো বাজারে সবজির দাম চড়া। তার মধ্যে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি যেন ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে। বৃষ্টির অজুহাতে সবজির দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। বাজারে বেশিরভাগ সবজি কিনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহের চেয়ে ১০-২০ টাকা বেশি। কিছু সবজির দাম আবার কেজিপ্রতি শতকও ছাড়িয়েছে। তবে এই দাম নির্ধারণকরণে নেই কোনো বাজারে মনিটরিং টিম।

১৫ অক্টোবর , নাগরপুর সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি, চিনি, চাল, আটা, ডাল ও মাছ
মাংস, টমেটো ৩২০ টাকা ,মরিচ ৪০০ টাকা,ধনিয়া পাতা ৫৫০ টাকা,গাজর ২৪০ টাকা,ডিমের হালি ৬০ টাকা,লাউ ১০০ টাকা প্রতি পিস,বেগুন ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা,পটল ৮০ টাকা,ঢেঁড়স ১২০ টাকা,শসা ৬০ টাকা,সিম ২৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা কেজি, করল্লা ১০০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা,বরবটি ১৪০ টাকা,লাল শাক ৪০ টাকা,বাঁধাকপি ৮০ টাকা, চাল ৭০ টাকা , ডাল ১৫০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ১২০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা, জিরা ৬৬০ টাকা , হলুদ ২৫০ টাকা, শুকনা মরিচের গুড়া ৬০০ টাকা, আদা ২০০ টাকা , চিনি ১৪০ টাকা , আটা ৫০ টাকা ,বয়লার মুরগি ১৯০ টাকা, গরু মাংস ৭০০ টাকা, খাসি মাংস ১০০০ টাকা , রুই মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি।

বাজারের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে নাগরপুর বাজারে বাজার করতে আসা বেলাল নামে এক ব্যক্তি বলেন, ভেবেছিলাম সরকার পরিবর্তনের পরে বাজারে কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না। দামও কমবে। কিন্তু দাম তো কমছেই না, সরকারের এ নিয়ে কোন উদ্যোগও দেখছি না।

অপর এক ক্রেতা রুবেল বলেন, বাজারে আসলে বোঝা যাবে মানুষ কেমন আছে। বাজারে জিনিসপত্রের দামের কি অবস্থা , সেটা তো আপনারাও দেখছেন। এভাবে মানুষ চলতে পারে না। ছোট চাকরি করি। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও আমাদের আয়তো বাড়েনি। ১ কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৪০০ টাকা। বাজারে সবকিছুর দাম আকাশ ছোয়া। কোনোভাবেই নির্দিষ্ট আয়ে জীবনযাপন সম্ভব হচ্ছে না।

নাগরপুর সদর বাজারে একাধিক ক্রেতা বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের কারণে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। দোকানদাররা তাদের ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বাড়িয়ে অতি মুনাফা করছে। এই সব অসাধু ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে সরকারের মনিটরিং জোরদার করতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অন্তর্র্বতী সরকারের সব সফলতা বিফলে যাবে বলে তারা মনে করেন।

বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় কারণে তরকারির দাম বেড়েছে। তাই তাদেরও বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।