নাগরপুর প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকালে উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের দেও আকুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এতে আংতকে দিন কাটাচ্ছে ওই গ্রামের ৮ পরিবার । এ ঘটনায় নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গাজিপুর জেলার কালিয়কৈর উপজেলার সিনাবহ গ্রামের শ্রী অশ্বিনী চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ চন্দ্র বিশ্বাস নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের দেও আকুটিয়া গ্রামের শ্রী সুশের চন্দ্র শীলের মেয়েকে বিয়ে করেন।
বিয়ে পর থেকে প্রদীপ চন্দ্র বিশ্বাস শশুর বাড়ীতে আসা যাওয় করেন। প্রদীপ চন্দ্র বিশ্বাস তার চাচাতো সম্বন্ধী স্বপন চন্দ্র শীলকে জমি কিনে দেওয়ার জন্য বায়না বাবদ ৩ লক্ষ টাকা নিতে কালিয়াকৈর থেকে নাগরপুর শশুর বাড়ীতে আসেন।
গত ৮ মে বিকালে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে শশুর বাড়ী থেকে বের হয়। পথের মধ্যে আগের থেকে উৎত পেতে থাকে আব্দুল রশিদ, মো. জয়নাল আবেদীনসহ তাহার বাহামভক্ত লোকজন। ঘটনাস্থলে পৌছা মাত্রই রশিদ, জয়নাল ও সুমনসহ প্রদীপ চন্দ্র বিশ্বাসের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা কওে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় ।
তার ডাক চিৎকারে আশ পাশ থেকে লোকজন ছুটে আসলে রশিদগংরা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে আংতকে রয়েছে তারা। রশিদগংরা সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন সময় তাদের কে গ্রাম ছাড়া করার হুমকিধমকি দিয়ে আসছে। সেই সাথে জোরপূর্বক জমি দখল করে ঘর উঠিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ভক্তভূগি পরিবার।
প্রদীপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমি আমার সম্বন্ধীর কাছ থেকে জমির বায়না বাবদ ৩ লক্ষ টাকা নেওয়ার জন্য শশুর বাড়ীতে আসি। টাকা নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে চলে আসি। কিছু দুর আসার পর কয়েক জন লোক আমাকে অতর্কিত ভাবে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার ডাক চিৎকার শুনে আমার শশুর বাড়ী লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্বার করে বাড়ীতে নিয়ে যায়। টাকা ও মারধরের বিষয়ে নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সুহাগী রানী সরকার বলেন, ঘটনার দিন বিকালে আমি বাহিরে কাজ করার সময় দেখি রশিদ জয়নাল সুমন মিলে আমার ভাজতির জামাইকে মারধর করতেছে। তখন আমি আশ পাশের লোকজনকে খবর দেই। লোকজন আসলে জয়নাল, রশিদ, সুমন ও সামর্থ বেগম পালিয়ে যায়।
ওই গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুল হালিমও সমেশ মিয়া বলেন, প্রায় ৭০ বছর ধরে আমরা হিন্দু মসলমান একত্রে বসবাস করে আসছি। আমাদের সাথে কখনো কথা কাটাকাটি হয়নি। রশিদ বাড়ী করার পর থেকে তাদের সাথে ঝামেলা কওে আসছে। মারামারি ঘটনা আমরা শুনেছি।
স্বপন চন্দ্র শীলবলেন, আমার কাকাতো বোনের স্বামী প্রদীপ চন্দ্র বিশ্বাস আমাকে জমি কিনে দেওয়ার বাবদ ৩ লক্ষ টাকা নিতে আমাদের বাড়ী আসে। টাকা নিয়ে প্রদীপ বাড়ী থেকে বের হয়ে যাবার কিছুখন পর শুনতে পারি পথের মধ্যে তাকে মারধর কওে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
জয়নাল আবেদীনের পিতা মো.আনোয়ার জানান,ঘটনার দিন আমার ছেলে ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। আমার ছেলে কোন মারামারি করে নাই।
এ ব্যাপারে আব্দুল রশিদ কাছে জানতে চাইলে সে কোন কথা না ব্যস্তা দেখিয়ে ঘটনার স্থল থেকে চলে যায়।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু