যুগধারা ডেস্ক :
অনেকেই পাখিকে বাড়িতে পোষেন। কেউ কেউ আবার বন্য পাখিকে খাবার দেন। বাড়িতে যাতে পাখি এসে বসে তার জন্য অনেকেই ছাদে পানি এবং খাবার রাখেন। তবে পাখি প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ। সম্প্রতি এমন দুটি প্রজাতির পাখির খবর জানিয়েছে ডেনমার্কের বিজ্ঞানীরা যা জানলে ভয় হবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, এই পাখিগুলি আর পাঁচটি সাধারণ পাখির মতো নয় ! এদের শরীরে বিষ রয়েছে। এই পাখির সংস্পর্শে মানুষ এলে ঘটবে মৃত্যু। এই পাখিদের গায়ে স্পর্শ লাগলেই সঙ্গে সঙ্গে বিষ ছড়াবে মানুষের শরীরে। বিষাক্ত সাপের বিষের থেকেও দ্রুত ছড়াবে বিষ।
বিজ্ঞানীদের দাবি, জঙ্গলের বিষাক্ত ফল, খাবার খেয়ে নিজেদের মধ্যে একটা প্রতিরেোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে এই পাখিরা। সেই বিষের ক্ষমতা সহ্য করাই নয়, নিজেদের মতো করে শরীরে বিষ সঞ্চয় করে এই পাখিরা। আর সেই বিষ পালকে এবং ডানাতেও জমা থাকে। ফলে এই পাখির কাছাকাছি এলেই ঘটতে পারে মৃত্যু।
ডেনমার্কের বিজ্ঞানীরা এই দুই ঘাতক পাখির সন্ধান পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তরের দ্বীপ নিউ গিনিতে। নিউ গিনির গভীর অরণ্যে রুফাস-নেপ্ড বেলবার্ড বা অ্যালিয়াড্রায়স রুফিনুসা এবং রিজেন্ট হুইস্লার বা প্যাশিসেফালা স্কেলেগেলি এই দুই প্রজাতির পাখির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যারা পালকে জমিয়ে রাখতে পারে বিষ।
এই পাখিগুলি শরীরে নিউরোটক্সিন সৃষ্টি করে। আর সেই ঘাতক বিষ সঞ্চয় করে পালকে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ এবং মধ্য আমেরিকায় যে বিষাক্ত ব্যাঙ পাওয়া যায়, সেই ব্যাঙের শরীরে যে ধরনের বিষ থাকে এই পাখির শরীরেও ঠিক একই ধরনের বিষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু