সুলতান কবির :
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ধানমন্ডির বাসভবন ‘সুধা সদন’ থেকে গ্রেফতার হয়ে ছিলেন তৎকালীন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। বন্দি থাকা অবস্থায় কারা অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই সময় বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে।
আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির মুখে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
মুক্তি পেয়েই চিকিৎসার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে।
পরে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগসহ মহাজোট সরকার গঠিত হয়। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনাও টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থ বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০০৮ সালে কারামুক্ত হওয়ার পরের বছর থেকেই শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির পক্ষ হতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী যুবলীগের নব-গঠিত কমিটির সভাপতি মোঃ মাছুদ পারভেছ, সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম তালুকদার বিল্পব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নূর মোহাম্মদ শিকদার মানিক, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা বাবু, শহর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মেহেদী হাসান ইমু, যুবলীগ নেতা, হিমেল, সুলতান কবির, মফিজুর রহমান মফিজ সহ অন্যান্ন নেতৃবৃন্দ।
যুগধারা ডট টিভি/ অন্তু