স্টাফ রিপোর্টার :
” মানুষ মানুষের জন্যে ” এই আলোকিত সত্যটি যিনি প্রতিনিয়ত ধ্যান-জ্ঞান করেন এমন একজন ব্যক্তি লোকমান হোসেন। অন্যের মঙ্গলে নিবেদিত থাকতে ভালবাসেন তিনি। তৃপ্তি খুঁজে পান সেখানেই। স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান আলোক হেলথ কেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুচারুভাবে। পাশাপাশি এক মূহুর্তের জন্যও ভুলে যান না তার সামাজিক দায়িত্বের বিষয়টি। সকল স্তরের মানুষের প্রতি তার প্রাণের দরজা উন্মুক্ত। লোকমান হোসেনের জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর গর্জনাপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম আক্কেল আলী সরকার। মাতা নজমননেছা। তার শৈশব কেটেছে গ্রামে। গ্রামের উদার সবুজ- শ্যামল প্রকৃতির বুকে বেড়ে ওঠা লোকমান হোসেন এর হৃদয় মন প্রকৃতির মতোই উদার। উদার এই মানুষটি সমাজের দুস্থ নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠার সকল সংগ্রামে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে চান। মানবতাবাদী, দরদ প্রাণ, পরোপকারী ও আলোকিত মনের মানুষ লোকমান হোসেন একজন সচেতন সমাজ সেবক হিসেবে ইতোমধ্যে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, বন্যা কবলিতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ, বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে অনুদান প্রদান, ও ধর্মীয় উৎসবে উপহার প্রদানসহ বহু কল্যাণ মূলক কাজে আত্মনিয়োগ করে সুধী সমাজে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল – ৩ (ঘাটাইল) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লড়াইয়ে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা। দলটির একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে মাঠে নেমেছেন। মনোনয়ন পেতে দলের নীতি নির্ধারনীদের দৃষ্টি আকর্ষণে জোড় লবিং শুরু করেছেন তারা। তবে ইতিমধ্যে সর্বমহলে একজন মানবপ্রেমী হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন লোকমান হোসেন। তিনি একজন স্বাস্থ্য সেবায় নিবেদিত প্রাণ মানুষ। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের নিকট আলোকের লোকমান ভাই হিসেবে পরিচিত। দলীয় নেতা কর্মীরা মনে করেন তাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিলে সে এমপি নির্বাচিত হবে এবং দল আরো সু-সংগঠিত হবে। নেতা কর্মীদের এ বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে লোকমান হোসেন এগিয়ে রয়েছেন।
ঘাটাইল পৌর শহর ও ১৪ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায় লোকমান হোসেন সর্বমহলে জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। সারাজীবনের সততা, নিষ্ঠা এবং দায়িত্বশীলতাই তাকে রাজনীতিতে এ সফলতা এনে দিয়েছে। সৎ মানুষ হিসেবে তিনি এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন। এ কারণে তাকে আধুনিক ঘাটাইলের উন্নয়নের প্রাণ পুরুষ হিসেবে দেখতে চান সর্বস্তরের মানুষ।
লোকমান হোসেন বহু সংগ্রাম করে জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি কর্তব্যনিষ্ঠ ও হৃদয়বান। অনেক গরীব অসহায় মানুষকে তিনি বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ করে দিয়েছেন। সহমর্মিতা তার চরিত্রের অন্যতম গুণ। বৃহত্তর গণমানুষের মধ্যে কাজ করার ইচ্ছে তার বরাবরই ছিল। সেই লক্ষ্য বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় সব কিছু করতে তিনি প্রস্তুত। এ জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে গণমানুষের প্রকৃত কল্যাণে কাজ করতে চান। বর্তমানে যে অবস্থানে রয়েছেন সেখান থেকে স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ করছেন। কিন্তু ঘাটাইলবাসী চায় তিনি যেন জাতীয় সংসদে গিয়ে তাদের জন্যে কথা বলেন। গণমানুষের এ দাবিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে মূল্যায়ন করে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন।
লোকমান হোসেন ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মূলত ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আর্দশে আর্দশিত হয়ে গণমানুষের বাঁচার দাবির প্রতি অটল থেকেছেন। সমাজ কল্যাণ মূলক কর্মকান্ডে সক্রিয় থেকেছেন। এবার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগে তার অবস্থান সুদৃঢ়। তিনি নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে সবসময় গণমানুষের পাশে থাকেন। ঘাটাইল উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে জনসাধারণের মনযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে ঘাটাইলের পূর্বাঞ্চলের ইউনিয়ন গুলোর সমন্বয়ে নতুন আরেকটি উপজেলা প্রতিষ্ঠা, আইটি পার্ক স্থাপন, প্রতিটি গ্রামে কৃষি ক্লাব স্থাপন, শিশু পার্ক স্থাপন, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন, সন্ত্রাস, জঙ্গি ও মাদকমুক্ত উপজেলা গঠন করা ইত্যাদি রয়েছে।
ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠন ছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তার হয়ে কাজ করছেন। জানা গেছে ঘাটাইলের বিভিন্ন অঞ্চলের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ করছেন তিনি। এ সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তার পক্ষে জনমত সৃষ্টি ও বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সফলতা তুলে ধরেছেন। তিনি বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, ক্রীড়া- সাংস্কৃতি ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের মধ্যে দিয়ে সারা ঘাটাইলে নিজের অবস্থা তুলে ধরছেন। বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান, শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ পাড়া মহল্লায় তার ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও পোষ্টার লাগিয়েছেন।
সরেজমিন গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তিনি যে পরিমাণ গণসংযোগ করেছেন তার সমকক্ষ সম্ভাব্য প্রার্থীদের আর কেউ করতে পারেনি। লোকমান হোসেনের গণসংযোগে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা কর্মীরা সংগঠিত হচ্ছে লোকমান হোসেনের পক্ষে। অবিরাম চলছে চা-স্টল ও জনসমাগম স্থলে তার পক্ষে প্রচারনা। নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি ঘাটাইলের সর্বস্ত সাধারণ মানুষের মুখে এখন লোকমান হোসেনকে ঘীরেই চলছে আলোচনা। তিনি যে এলাকায় যাচ্ছেন সে এলাকার মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ভির করছেন।
আগামী সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে লোকমান হোসেন বলেন দীর্ঘদিন যাবৎ ঘাটাইলে সুসামঞ্জস্য উন্নয়ন হচ্ছে না। পরিকল্পিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ঘাটাইলবাসী। এমতাবস্থায় ঘাটাইলে সুসামঞ্জস্য উন্নয়নের জন্য আগামী নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। ঘাটাইলের সন্তান হিসেবে সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। তাদের সুখ- দুঃখে পাশে থাকতে চাই। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের স্বার্থে জনগণের ম্যন্ডেট প্রয়োজন। গণমানুষের সুখ-দুঃখের কথার পাশাপাশি বঞ্চিত মানুষের স্বাস্থ্য সেবার বিষয়টি মহান জাতীয় সংসদে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরার জন্য জনগণের রায়ে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে চাই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় বিশ্বমানের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে যেতে চাই। মূলত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনা হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে অংশ নিতে চাই। ঘাটাইলবাসীর উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। ঘাটাইলের প্রতিটি মানুষ আমার প্রিয়। এ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসা পেলে বাকী জীবন আমি তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো ইনশাআল্লাহ। আশা করি গণমানুষ আমাকে সে সুযোগ দিবেন।