বাংলা গানের ‘স্বর্ণকণ্ঠ’ খালিদ হাসান মিলু, প্রয়াণের ১৮ বছর

Spread the love

যুগধারা ডেস্ক :

অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা খালিদ হাসান মিলুর আজ ১৮তম প্রয়াণ দিবস। ২০০৫ সালের ২৯ মার্চ না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলা গানের ‘স্বর্ণকণ্ঠ’ নামে খ্যাত এই কণ্ঠশিল্পী। তিনি ১৯৯৪ সালে ‘হৃদয় থেকে হৃদয়’ চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮০ সালে তার সঙ্গীত জীবন শুরু হয়। মিলুর প্রকাশিত অ্যালবাম সংখ্যা ১২টি। তিনি ৫০০০ এর মতো গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

‘অনেক সাধনার পরে আমি’, ‘কতদিন দেহি না মায়ের মুখ’, ‘নিশিতে যাইয়ো ফুলবনে’, ‘নীলা তুমি আবার এসো ফিরে’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘হৃদয় থেকে হৃদয়’, তুমি আমার হৃদয়ে যদি থাকো’, ‘পৃথিবীকে ভালোবেসে সুরে সুরে কাছে এসে’, ‘শোনো শোনো ও প্রিয়া প্রিয়া গো’, ‘যে নদী মরুর পথে পথটি হারাল’, ‘যতদূরে যাও মনে রেখো’, ‘মনের আকাশে কালো মেঘ’, ‘যদি পারো ভালোবেসে এসো’ প্রভৃতি জনপ্রিয়ও গানের শিল্পী খালিদ হাসান মিলু  গানেই বেঁচে থাকবেন আজীবন। 

খালিদ হাসান মিলু জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬২ সালে ৩ এপ্রিল পিরোজপুরের আদর্শপাড়াতে। মিলুর বাবা মোদাচ্ছের আলী মিয়া ছিলেন স্থানীয় ‘গুনাইবিবি’ পালা গানের সাথে জড়িত। বাবা গানের মানুষ হিসেবে ছোট্ট মিলুরও ছিলো গানের প্রতি বিশেষ এক ঝোঁক। এর কারণে তাঁর গানের প্রতিভাও বিকশিত হয় দ্রুত। বাবার হারমোনিয়াম দিয়েই মিলুর গানের সাধনা শুরু।

তিনি ওস্তাদ রবীন দাস,সুরেশ দাস সহ আরো কয়েকজনের কাছে সংগীত বিষয়ে তালিম নেন। তার তালিম নেয়া তখন পূর্নতা পায় যখন তিনি ১৯৭৮ সালে খুলনা বেতারে তালিকাভুক্ত শিল্পি হন। খুলনায় তিনি ‘স্পার্টান’ একটি ব্যান্ডও গঠন করেন।

সংগীতে নিজেকে আরো বিকশিত করতে খালিদ হাসান মিলু ঢাকায় চলে আসেন। আকবর কবির পিন্টু পরিচালিত আলী হোসেনের সুরে ‘কালো গোলাপ’ ছবিটির মাধ্যমে প্রথম চলচ্চিত্রে গান করেন।

ক্যারিয়ারে তার ১২টি একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ‘প্রতিশোধ নিও’, ‘নীলা’, ‘শেষ ভালোবাসা’, ‘আয়না’, ‘মানুষ’ ও ‘শেষ খেয়া’ অন্যতম। একক অ্যালবাম ছাড়াও খালিদ হাসান মিলু প্রায় ২৫০টি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। লিভার সিরোসিসে ভুগে ২০০৫ সালের ২৯ মার্চ তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। কালজয়ী এই কণ্ঠশিল্পীর দুই ছেলে প্রতীক হাসান ও প্রীতম হাসান সঙ্গীতকে ভালোবেসে এই জগতেই যুক্ত আছেন।

যুগধারা ডট টিভি/অন্তু