অর্ণব আল আমিন ঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে বৃত্তি পরীক্ষায় তথ্য গোপন করে সহকারী হল সুপারের দায়িত্ব নেওয়ার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারমিন আক্তারকে তার প্রাপ্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বাসাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারমিন আক্তারের ছেলে বাসাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল।
কিন্তু শারমিন আক্তার তার ছেলের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি গোপন রেখে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের জোগসাজসে তিনি একই কেন্দ্রে সহকারী হল সুপারের দায়িত্ব নেন। বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যেই কেন্দ্র ও কেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে শারমিন আক্তারকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বাসাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হল সুপারের দায়িত্বে থাকা সেহরাইল-কাউলজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারমিন আক্তারের ছেলে একই কেন্দ্রে বৃত্তি পরীক্ষা দিচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। পরে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তারও (শারমিন আক্তার) হয়তো নিয়মটি জানা ছিল না।’ কেন্দ্র সচিব বাসাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মুহসীনুজ্জামান বলেন, ‘কোনও শিক্ষক বা কর্মচারীর সন্তান একই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী থাকলে তিনি দায়িত্ব নিতে পারবেন না।
কিন্তু ওই শিক্ষকের ছেলে এ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরে বিষয়টি জানতে পেরে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা) বাবুল হাছান ওই শিক্ষককে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সদানন্দ পাল বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিক্ষককে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আমাদের কোনও অফিসারের জোগসাজস নেই। তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলার ১০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের ৫২২জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। ২২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল।