বিএনপি’র আন্দোলন করে লাভ নেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে-কৃষিমন্ত্রী

Spread the love

হাবিবুর রহমান/ নাজিবুল বাশার:
কৃষিমন্ত্রী ড.মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, গত ১৪ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। এ আন্দোলন করে কোন লাভ হবেনা। ত্বত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবীতে যে আন্দোলন তারা করছে এটা আর বাংলাদেশে কোন দিন ফিরে আসবেনা। এ ইস্যুতে আন্দোলন করে বাংলাদেশে আর কোন লাভ হবেনা । আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে। বিএনপি,জামায়াত পাকিস্তানের দোসরদের এ দেশে আর কোনদিন অসাংবিধানিক পন্থা ফিরিয়ে আনতে দেয়া হবেনা। তারা যদি আন্দোলনের নামে এ দেশে আবার বাড়াবাড়ি শুরু করে তাহলে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

গতকাল ৭ জানুয়ারি শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর ঐতিহ্যবাহী মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তীতে সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, যে দেশে যুগোপযুগী শিক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানে শিক্ষার মান উন্নয়নের উপর নজর দিতে হবে। যে প্রতিষ্ঠান মানহীন অবস্থায় রয়েছে তাদেরকে মান উন্নয়ন করার জন্য প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শণ করে মান উন্নয়ন করার জন্য তিনি আহবান জানান।
৫০ বছর পূর্তী সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে খন মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ্যালামনাই এসোসিয়েশন ও সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলহাজ মো. নূর রহমানের সভাপতিত্বি প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি । মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মো. আব্দুল আলীমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার,সহকারী পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন আহম্মেদ, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, পৌরসভার মেয়র মো. সিদ্দিক হোসেন খান, সাবেক অধ্যক্ষ মো. মনসুর আলী মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, ৫০ বছর পূর্তী সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক মো. লোকমান হোসেন প্রমুখ । স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. বজলুর রশীদ খান ।
সকালের হিম হিম বাতাস আর কুয়াশা উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান অধ্যয়রত শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করে তাদের প্রাণের বিদ্যাপিঠের সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে। ধীরে ধীরে সমবেত সতীর্থদের উপস্থিতিতে বিদ্যালয় কানায় কানায় ভরে উঠে। উচ্ছ¡াসে মেতে উঠে তাদের প্রাণের মেলায়। পুরোনো স্মৃতিতে ফিরে যায় কৈশোর বনে। সূবর্ণ জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ও সড়ক পথকে সাজানো হয়েছে বর্ণীল সাজে। মধ্যাহ্ন ভোজের পর একটি আনন্দ শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের সম্মননা ও অতিথিদের ক্রেষ্ট প্রদান করে এসোসিয়েশন। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক পর্ব ।