বিলছায়া হাওর বিলে বকের দেখা মিলছে 

Spread the love

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে বিলছায়া হাওর বিলে সাদা বকের দেখা মিলছে। এতে প্রশান্তি বয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। অপরদিকে বক শিকারি কমে যাওয়ায় এই সাদা বকের বিল বাওর ও ক্ষেতের আইলে আগমন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। 

টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার নিম্ন অঞ্চলের ছোট ছোট বিল বাওর ও ক্ষেতের আইলে এই দৃশ্য দেখা যায়। 

সরেজমিনে দেখা যায় নিকরাইল, জোকারচর ও সল্লাতে পশ্চিম পাড়া,পূব পাড়া বিল,আন্দর বিল, দেউপুর বিল,হাতিয়া বিল ও বিলছায়া বিলসহ ক্ষেতের আইলে পাশ দিয়ে অল্প পানিতে গলা উচু করে মাছ শিকার করছে।

এক শিকারি বলেন,শখ করে বিলছায়া  বিলে বক শিকার করতে এসেছিলাম। অভিনব কায়দায় লাইলোনের সুতা দিয়ে যখন শিকারির কাছে যাই তখনি স্থানীয়া লোকজন বুঝতে পেরে আমাকে সরিয়ে দেয়।  

স্থানীয় সাবেক সেনা সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে সল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনসচেতনতাসহ সঠিক নজরদারি রাখছে। 

তবে তিনি মনে করেন প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনগন সচেতনতা থাকলে শিকারিরা শিকার করতে পারবো না। 

তাদেরকে বোঝাতে হবে এই পাখি যেভাবে হারিয়ে বসতে শুরু করছে। তাতে পরবর্তী জেনারেশন বক পাখি বই পুস্তকে পড়বে। কিন্তু বাস্তবে দেখা মিলবে না। 

ঢাকা থেকে বিয়ের দাওয়াত খেতে আসা টুটুল ইসলাম বলেন, অনেক বছর পর একত্রে এত বক দেখলাম। নিচু জমিতে অল্প পানিতে ছোট ছোট মাছ শিকার করছে। কাছে যেতে ইচ্ছা হল আর তখনি এগিয়ে গেলেই একে একে চলে গেল বকের পাল।তবে তিনি মনে করেন  শিকারিদের ভয় দুর হলেই হয়তো বকের আগমন আরও বাড়বে। আমার সন্তান বড় হচ্ছে আজও বাস্তবে বক পাখিটিকে দেখাইতে পারিনি। তাই জনগনের সবচেয়ে আগে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। না হলে হারিয়ে যাবে এসব নান্দনিক পাখিগুলো। 

বিলছায়া গ্রামের আসিফ জানান, ভোরের কুয়াশা ও বিকেল বেলায় বকের আনাগোনা বেশি থাকে। এরা বেশিরভাগ ঝাঁক বেঁধে চলাচল করে। এদের কাছে গেলেই এরা একে একে  ঝাঁক বেঁধে  সবাই চলে যায়। এই দৃশ্য না দেখলে বোঝা যাবে না।  তিনি আরো বলেন এর আগে শিকারিদের ভয়ে এই সাদা বক পাখি কম দেখা যেত।  ইদানিং এই সাদা বক পাখির আগমন লক্ষ করা যাচ্ছে। 

কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান আলীম বলেন, গত বছরেও এত বক পাখি দেখা মেলেনি। এবার সাদা বক পাখির আনাগোনাতে শিকারীদের পদচারণাও আছে বেশ। তারা শিকারের চেষ্টা করলে স্থানীয়রা সেটি প্রতিহত করবে। 

তিনি আরো জানান আমাদের এই বিল বাওরে কোন পাখি শিকারি স্বীকার করতে পারবেনা।  এবিষয় আমাদের স্থানীয়রা সজাগ রয়েছেন ।