ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর, সংগ্রামপুর, রসুলপুর, লক্ষিন্দর ও ধলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল বৃহস্পতিবার । নির্বাচন উপলক্ষে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়াও পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএমে ৪৬টি কেন্দ্রের ২৭৬টি কক্ষে ৫১হাজার ৬২৬জন পুরুষ, ৫০হাজার ৭৪৭জন মহিলা ও একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারসহ মোট এক লাখ দুই হাজার ৩৭৪ ভোটার ভোট দিবেন। পাঁচটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২১জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫৪জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১৪৩জন প্রার্থী ২১৮ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন।
অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি, র্যাব ও পুলিশ ও বিজিবির ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ ২ প্লাটুন বিজিবি, ৭৮২জন আনসার, বিপুল সংখ্যক মোতায়েন থাকবে। আজহারুল ইসলাম সরকার আরও জানান, প্রতিটি কেন্দ্রই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সন্ধানপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৮জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১৫হাজার ৪২২জন।
সংগ্রামপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২ ও সাধারণ সদস্য পদে ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২১হাজার ৮৫জন।
রসুলপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২ ও সাধারণ সদস্য পদে ২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১৭হাজার ৭০০জন। এ তিনটি ইউনিয়নে রিটানিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন ঘাটাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন।
লক্ষিন্দর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২৬হাজার ৪৪৮জন।
ধলাপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২ ও সাধারণ সদস্য পদে ৩২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২১হাজার ৭২০জন। এ দুটি ইউনিয়নে রিটানিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরিফা বেগম।