যুগধারা ডেস্ক :
দেশে ব্রয়লার মুরগির দাম ‘২০০ টাকার বেশি হওয়ার কোনো যুক্তি নেই’ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
বুধবার (২২ মার্চ) রাজধানীর নিউ মার্কেটের বনলতা মার্কেট কাঁচাবাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, ব্রয়লার মুরগি নিয়ে ভোক্তা অধিদফতর কাজ করেছে। আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো, ব্রয়লার মুরগির দাম ভোক্তা পর্যায়ে কেজিতে ২০০ টাকার ওপর হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
রমজান উপলক্ষে বাজার তদারকির অংশ হিসেবে বনলতা মার্কেটে যান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ব্যবসায়ী সমিতির নেতারও। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে মুরগি আমদানির পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ডাল, ছোলাসহ অনেক পণ্যের দাম কমেছে, বেড়েছে শুধুই ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। কোনোভাবেই এক কেজি মুরগির দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা হতে পারে না। তাও যদি হয়, তাহলে সরকারকে বলব পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মুরগি আমদানি শুরু করতে।
রমজান সামনে রেখে ‘বাজারে পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই’ উল্লেখ করে সফিকুজ্জামান বলেন, ভোক্তাদের বলব, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। পণ্য আছে, পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই।
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে যাতে কারসাজি না হয়, সেজন্য বাজার কমিটিগুলো কাজ করছে বলে জানান তিনি। সফিকুজ্জামান বলেন, এরপরও দেশের কোনো বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে যদি অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, তাহলে এর জন্য বাজার কমিটি দায়ী থাকবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।
‘পণ্য কিনি প্রয়োজনে, মূল্য রাখি নিয়ন্ত্রণে’ স্লোগানটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, আপনারা বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়বেন না। আপনারা প্রয়োজনে তিনদিন বা সাতদিনের পণ্য একসঙ্গে কিনবেন। এর চেয়ে বেশি পণ্য একসঙ্গে কিনে বাজার অস্থির করবেন না।
সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বেশি নিলে বাজার কমিটিগুলোকে তাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা এই নিয়ন্ত্রণটুকু করতে না পারলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার কমিটি বাতিল করে দেবে। ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান থাকবে – এবার রমজানে ভোক্তা যেন একটু স্বস্তিতে থাকেন।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, রমজান এলেই ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার অপবাদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আছে। আমরা এবার এফবিসিসিআই, ভোক্তা অধিদফতর, দোকান মালিক সমিতি, বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই রমজানে পণ্যের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
যুগধারা ডট টিভি/অন্তু