ভুঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভ্যন্তরীন কোন্দলে তালা, ফিরে যাচ্ছে রোগিরা

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভুঞাপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় শতশত রোগী চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।

১৪ অক্টোবর সকালে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের বর্হিবিভাগ ছাড়াও অন্যান্য গেটগুলোতে তালা দেয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের স্টাফ রানা মিয়ার নেতৃত্বে হাসপাতালে তালা ঝুলিয়েছে কর্মচারীরা।
এদিকে হাসপাতালে বর্হি-বিভাগের একজন চিকিৎসককে ধাওয়া ও হামলার ঘটনায় অন্যান্য চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে হাসপাতালে এসে ফিরে গেছেন।

অন্যদিকে হাসপাতালের কর্মচারীরা টিএইচও আব্দুস সোবাহান ও আরএমও’র ডা. এনামুল হক সোহেলের অপসারণ চেয়ে কর্মবিরতি পালন করে। এতে শতশত রোগী চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
ইতোপূর্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার (টিএইচও) দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগে দায়ের
করেছে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।

হাসপাতালে আসা রোগীরা জানান, সকালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে দেখি হাসপাতালের গেটে তালা ঝুলছে। কেউ নেই ভিতরে। কর্মচারীরা হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিবো সেখানেও শতশত মানুষের ভীর।
হাসপাতালের স্টোর কিপার রানা মিয়া জানান, গতকাল রাতে দুইজন ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের চিঠি নিয়ে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের কর্মচারীরা কর্মবিরতি দিয়েছে।

হাসপাতালের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, টিএইচও আব্দুস সোবাহান এবং আরএমও’ এনামুল হক সোহেলের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে হাসপাতালে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। ওই দুই কর্মকর্তার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে যেতে বাঁধা প্রাপ্ত হওয়া ওই চিকিৎসক জানান, বর্হিবিভাগে যাওয়ার সময় লোকজন বাঁধা দেয় এবং হামলা করার চেষ্টা করে। পরে নিরাপত্তাহীনতার কারণে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) আব্দুস সোবাহান বলেন, আরএমওসহ কয়েকজন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। হাসপাতালের তালা ঝুলানোর বিষয়টি জানা নেই। তিনজন চিকিৎসকসহ সেবিকারা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন হাসপাতালে। যারা হাসপাতালে আসেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলা সিভিল সার্জন মিনহাজ উদ্দিন মিয়া জানান, হাসপাতালের দুই কর্মকর্তার সাথে দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানার পর নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ কথা শোনেনি। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ঘটনাটি জানানো হয়েছে।

ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিমা বিনতে আখতার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।