স্টাফ রিপোর্টার:
ভুঞাপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে অভ্যন্তরীন কোন্দলের জেরে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় ইউএনওর মধ্যস্থতায় ১২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ভুঞাপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে অভ্যন্তরীন কোন্দলের জেরে সোমবার তালা ঝুলিয়ে দেয় কর্মচারীরা।
১৫ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিমা বিনতে আখতারের মধ্যস্থতায় স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়।
হাসপাতালের কর্মচারীরা টিএইচও আব্দুস সোবাহান ও আরএমও’র ডা. এনামুল হক সোহেলের অপসারণ চেয়ে কর্মবিরতি পালন করে। এতে শতশত রোগী চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যায়। ইতোপূর্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার (টিএইচও) দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে কিছু সংখ্যক চিকিৎসক ।
হাসপাতালের স্টোর কিপার রানা মিয়া জানান, রবিবার রাতে দুইজন ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের চিঠি নিয়ে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করে। হাসপাতালের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, টিএইচও আব্দুস সোবাহান এবং আরএমও’ ডাঃ এনামুল হক সোহেলের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে হাসপাতালে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে এবং চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিমা বিনতে আখতার ডাক্তার, কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সুশীল সমাজের লোকজন নিয়ে বৈঠক করে মধ্যস্থতা করেন। আরএমও ডা. এনামুল হক সোহেলকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ডাঃ খাদেমুল ইসলামকে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।