স্টাফ রিপোর্টার ঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দিনদিন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এলাকায় অধিপত্য বিস্তার, মাদক ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় অতিষ্ঠ এলাকার মানুষজন। গ্রুপ ভিত্তিক এসব কিশোর গ্যাংয়ের ছেলেরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের ব্যবহার করে ফায়দা হাসিল করছে। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ভূঞাপুর থানা বাউন্ডারীর পাশে উপজেলা ভূমি কার্যালয় গেটের সামনে প্রকাশ্যে বাইজিদ নামের এক কিশোরকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় অপর কিশোর গ্যাংয়ের ছেলেরা।
পরে তার সহপাঠিরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। জানা গেছে, উপজেলায় কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে মেয়েদের উক্ত্যক্ত, মাদক ও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় পুলিশ প্রশাসন থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সম্প্রতি ভূঞাপুর রেলস্টেশনে কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্যের মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে অপর গ্রুপের সদস্যরা হামলা করে। এতে সাব্বির নামে এক কিশোর গুরুত্বর আহত হয়। সে বর্তমানে ঢাকায় জাতীয় চক্ষু ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সামনে এক কিশোরকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্যরা। এছাড়াও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ এলাকাগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কিশোর গ্যাংগুলোর হামলায় উভয়পক্ষের ১০জন আহত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দিনদিন কিশোর গ্যাং বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গ্রুপের সদস্যরা সবাই রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় না। এতে রাজনৈতিক নেতারা এসব দলের সদস্যদের ব্যবহার করে ফায়দা হাসিল করছে। ফলে তারা বেপরোয়া হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মারামারির ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।