কোরবান আলী তালুকদার:
ভূঞাপুরে সাইফুল ইসলাম (৪৫) নামের এক যুবককের মরদেহ উদ্ধার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার ভূঞাপুর-যমুনা সেতু সড়কের কষ্টাপাড়া এলাকার ও গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক খন্দকার মোহাম্মদ আলীর বাড়ির সামনে রাস্তার পশ্চিম পাশ থেকে এই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতের কোন এক সময়ে শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। সাইফুল ইসলাম কুকাদাইর গ্রামের মৃত বদি মিয়ার ছেলে। তিনি একজন মাংস ব্যবসায়ী ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মরদেহ দেখতে ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতা ভিড় করে।
স্থানীয়রা জানায়- ভোরে নামাজ পড়ে হাঁটতেছিলাম। হঠাৎ দেখি রাস্তার পাশে একটি মানুষ পড়ে রয়েছে। কাছে গিয়ে দেখি লোকটি মৃত। পরে তাকে চিনতে পেরে পরিবারের লোকজন ও পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
পরিবারের লোকজন জানায়, সাইফুল ইসলাম গত দেড় মাস আগে স্বপরিবার নিয়ে ঢাকার আশুলিয়া চলে যায়। সেখানে তিনি মাংস ব্যবসায়ীর (কসাই) কাজ করতেন। ঢাকায় থাকলেও তিনি গরু কেনার জন্য প্রায়ই বাড়িতে আসতেন। স্থানীয় হাট থেকে দু’একটি গরু কিনে ঢাকায় নিয়ে জবাই করে মাংস বিক্রি করতেন।
বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা থেকে কুকাদাইর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু সে আর বাড়িতে আসেনি। সকালে লোকজনের কাছে শুনতে পাই কে বা কারা তাকে মেরে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রেখেছে।
সাইফুল ইসলামের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন- শত্রুতা করে কেউ হয়তো আমার বড় ভাইকে শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গেছে। আমার ভাইয়ের হত্যায় যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। দেখে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা চেতনানাশক দ্রব্য জাতীয় কিছু খাওয়াইয়া শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে যেতে পারে। তিনি আরো জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে। এনিয়ে তদন্ত চলছে।