মধুপুরে প্রেমিকের বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের ঘটনায় আটক ৪

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার :

সাতক্ষীরা থেকে টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রেমিকের বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে প্রেমিকা ১৬ বছর বয়সের এক কিশোরী

টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন (২০) নামে এক প্রেমিকের বাড়িতে বেড়াতে এসে প্রথমে মধুপুর ও পরে তাকে পাশের জামালপুর সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় নিয়ে প্রেমিক নাজমুলের চাচাত ভাই সজীবসহ তিনজন মিলে গণধর্ষণের করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৪ যুবক তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছে ওই কিশোরী। পুলিশ অভিযুক্ত ওই চার যুবককে আটক করেছে। আটক সবাই কিশোরীর প্রেমিক নাজমুলের স্বজন ও পূর্ব পরিচিত।

আটককত চারজন হলেন- মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাগাডোবা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সজীব মিয়া (২৮), কাইলাকুড়ি (কামারতাফাল) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৮) এবং জামালপুর সদরের রশিদপুর ক্ষেত্রীপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মামুন (২৬) এবং রশিদপুর ভাটিপাড়ার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩০)।

ওই কিশোরী মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাগাডোবা গ্রামের মোস্তফার ছেলে নাজমুলের প্রেমিকা। তাদের সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে। নাজমুল সজিবের চাচাতো ভাই। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা থেকে মধুপুরে নাজমুলের বাড়িতে আসার পথে জামালপুরের রশিদপুর চেীরাস্তা থেকে নাজমুলের পক্ষে সজিব ও হাফিজুর তাকে মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে আনতে যায়।

তারা দুপুরে রওনা দিয়ে সজিবের বাড়িতে না নিয়ে বিভিন্ন দিক ঘুরা ঘুরি করে বিকালে মধুপুর উপজেলার চাঁদপুর রাবার বাগানের কালাপাহাড় এলাকার বনে নিয়ে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার পর দুজনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ঘটনা প্রকাশ করলে জীবননাশের হুমকি দেয়। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবার রশিদপুর চৌরাস্তায় মোবাইলসহ রেখে যায়। নাজমুলকে বিষয়টি বললে সে কিশোরীকে অপেক্ষা করতে বলে। এ সময় বাজারে অবস্থান করা মামুন সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এসে সাতক্ষীরায় পাঠানোর কথা বলে দিগপাইত নিয়ে যায়।

দিগপাইতে খাওয়ার সময় নাজমুল মোবাইলে ফোন করে তার অবস্থান জেনে আবার রশিদপুর ফিরে আসতে বলে। ওই কিশোরীকে মামুন আবার অটো নিয়ে রশিদপুরের দিকে ফেরার পথে রশিদপুরের কাছাকাছি এসে একটি বাড়িতে নিয়ে ঢুকে। সেই বাড়ি থেকে হাফিজুল যোগ দেয়। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে রশিদপুরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সর্দারবাড়ি এলাকার ধানখেতে নিয়ে দুজনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ সময়ও ধর্ষণকারীরা তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে বন্ধ করে দেয়। পরে রশিদপুর-তুলসীপুর সড়কে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। ওই কিশোরী এ সময় নাজমুলের সঙ্গে ফোনে কথা বলে নিজের অবস্থান জানায়। নাজমুল মোটরসাইকেল নিয়ে এসে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মধুপুরের ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আলীর কাছে হাজির হয়। চেয়ারম্যান দ্রুত তাদের থানায় পাঠিয়ে দেন।

ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আলী বলেন, ধর্ষণের মতো অপরাধ স্থানীয়ভাবে সমাধানের সুযোগ নেই। তাই তাদেরকে থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি। এদিকে শনিবার সকালে নাজমুলসহ থানায় এসে ওই কিশোরী অভিযোগ করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক চার জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

মধুপুর থানার (ওসি) মাজহারুল আমিন জানান, ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আটকদেরও আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

যুগধারা ডট টিভি/অন্তু