মোঃ রুবেল মিয়া:
মির্জাপুরে ৪ দিন ধরে সবজির বাজার খুব চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বিপাকে পরছে সাধারণ ক্রেতারা। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
সাধারণ মানুষ বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সবজির বাজার চড়া হয়েছে। তবে দূর্গাপূজা উৎসব শেষ হলে আগামী সোমবার থেকেই সবজির দাম কমে যাবে বলে ধারণা করছেন কাচাঁমাল ব্যবসায়ী মনজু মিয়া।
যেখানে কয়েকদিন আগে কাচাঁমরিচ ছিল ২০০-২৫০ টাকা কেজি সেখানে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা দরে। এছাড়াও অন্যান্য সবজি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে, করলা ১২০ টাকা, ঢেরশ ১২০,শিম ৪২০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ-১২০ টাকা কেজি, বেগুন-১০০ টাকা ,ফুল কপি-১৬০ টাকা কেজি, টমেটো-২৪০ টাকা কেজি, মুলা-৮০ টাকা কেজি,পাতা কপি-৬০ কেজি,পঞ্চমুখী কচু-৭০ টাকা কেজি, শসা-৮০ টাকা কেজি, পটল-৮০ টাকা, দেশী লাউ১০০ কেজি,মিস্টি লাউ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
১১ অক্টোবর সরেজমিনে কয়েকজন সবজি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টির কারণে ও শারদীয় উৎসবের কারণে কাঁচামরিচ সহ প্রায় সব সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে দাম বেড়েছে।আমরা গত সপ্তাহে যে দাম দিয়ে সবজি পাইকারি দরে কিনে ছিলাম তা এই সপ্তাহে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে। আর তাই আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি।
বাজারের সাধারণ ক্রেতা, আজিম, জূয়েল, কানাই, সেলিম সহ কয়েক জনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, কোথায় এখন ছাত্র আন্দোলন কোথায় সমন্বয়ক তাদের তো এখন খোজ পাচ্ছি না। কিসের জন্য দেশের সরকার পতন করলাম এখন দেখি আগের সরকারের চেয়ে এখনকার সরকারের আমলে বেশী দামে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে হচ্ছে । পানির দামে (১৫) বিক্রি হচ্ছে ডিম, সয়াবিন ১৭৫ টাকা লিটার, চাল ২৫ কেজির দাম ১৫০০-১৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, ডাল ১২০-২২০ টাকা কেজি আর সবজি তো হাত দেওয়ায় যায় না।
মির্জাপুরের সমন্বয়ক ইমন সিদ্দিকীর সাথে মুঠোফোনে বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং করব এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের সাথে আলোচনা হয়েছে। শারদীয় উৎসবে ব্যস্ততা থাকায় বাজার মনিটরিং এ বিলম্ব হচ্ছে এবং অচিরেই এই সমস্যা সমাধান হবে বলে তিনি জানান।