টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) তিনজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন এসআইকে ইতোমধ্যে জেলার অন্য থানাগুলোতে বদলী করা হলেও ওসিকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, গ্রেফতার বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি ও দলীয় করণের অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম, থানার সেকেন্ড অফিসার ও উপ-পরিদর্শক আব্দুল করিম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) রামকৃষ্ণ সরকার এবং আরেক উপ-পরিদর্শক আবুল বাশার মোল্লা। এদের মধ্যে এসআই আব্দুল করিমকে নাগরপুর থানায়, রামকৃষ্ণ সরকারকে টাঙ্গাইল সদর থানায় এবং আবুল বাশার মোল্লাকে দেলদুয়ার থানায় বদলী করা হয়।
শনিবার (১৭ আগষ্ট) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, মির্জাপুর থানার সাবেক ওসি রেজাউল করিম, সেকেন্ড অফিসার আব্দুল করিম, এসআই রামকৃষ্ণ সরকার ও আবুল বাশার মোল্ল্যা থানায় যোগদানের পর থেকেই তাদের বিরুদ্ধে দলীয় করন, গ্রেফতার বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এতে ক্ষুব্ধ ছিল থানার সাধারন মানুষজন ও বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে মির্জাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ও এলাকার বিক্ষুব্দ মানুষজন প্রত্যাহার হওয়া চার পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে মির্জাপুর থানায় হামলার চেষ্টা চালায়। পরে ঘটনা বেগতিক দেখে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর-নাগরপুর সার্কেল) এস এম মনসুর মুসার নির্দেশে তাদের ঐ দিন রাতেই থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এতে পরবর্তিতে মির্জাপুর থানায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
জেলা পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর পিপিএম বলেন, নিয়মিত কার্যক্রম অনুযায়ী ওই চারজন পুলিশ কর্মকর্তাকে থানা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন এইআইকে বিভিন্ন থানায় বদলি করলেও ওসি পুলিশ লাইনেই সংযুক্ত রয়েছে। পরিবেশ স্বাভাবিক হলেই মির্জাপুর থানায় নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে।